প্রধানমন্ত্রী এবং জাতীয় সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেছেন, সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয় ছিল খুবই প্রত্যাশিত। নির্বাচনের প্রাক্কালে পরিচালিত বিভিন্ন দেশি-বিদেশি জরিপে এই বিজয়ের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল।
লন্ডন ভিত্তিক ইকোনমিক ইন্টেলিজেন্স ইউনিট এবং রিসার্স এন্ড ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের জরিপের ফল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের এই বিপুল বিজয় (ল্যান্ড স্লাইড) বিজয়ের বহুবিধ কারণের মধ্যে রয়েছে- বিগত ১০ বছরে দেশের যে উন্নয়ন হয়েছে তাঁর সুফল পেয়েছে দেশের সাধারণ মানুষ।’
প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদ নেতা শেখ হাসিনা আজ জাতীয় সংসদে তাঁর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সদস্য মাহফুজুর রহমানের (চট্টগ্রাম-৩) এক প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এ সময় স্পিকারের দায়িত্ব পালন করছিলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার প্রদত্ত বয়স্ক এবং বিধবা ভাতা একদা সংসারে অপাংক্তেয় থাকা মানুষগুলোকে সংসারে জায়গা করে দিয়েছে। দেশের প্রতিটি গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছেছে এবং রাস্তাঘাট পাকা হয়েছে। কৃষি শ্রমিক, নির্মাণ শ্রমিক, ভ্যান ও রিকশা চালকসহ নি¤œবিত্ত মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটেছে।
সেই সাথে নারীর ক্ষমতায়ন হওয়ায় গ্রাম বাংলার অবহেলিত প্রায় সব পরিবারই আওয়ামী লীগ সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের কর্মসূচির আওতায় এসেছে, কৃষি শ্রমিক নির্মাণ, নির্মাণ শ্রমিক, ভ্যান ও রিকসা চালকসহ নি¤œবিত্ত মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পদ্মা সেতু, ঢাকা মেট্রোরেল রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, কর্ণফুলী টানেল, মহাসড়কগুলোকে চার লেনে উন্নীত করণসহ বিভিন্ন মেগা প্রকল্পগুলো দৃশ্যমান হওয়ায় আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি দেশের মানুষের আস্থার সৃষ্টি হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘উন্নয়নশীল রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের মর্যাদা প্রাপ্তি জনগণকে গর্বিত করেছে। ভিক্ষুকের দুর্নাম ঘুচেছে এবং যারা মানুষকে মর্যাদার আসনে বসিয়েছেন তাদেরকে মানুষ মর্যাদা দেবেন, এটাই তো স্বাভাবিক।’
শক্তিশালী বিরোধীদলের অনুপস্থিতি এবং তাঁদের নির্বাচন নিয়ে প্রস্তুতির অভাব, মনোনয়ন ত্রুটির ফলে দলীয় কোন্দলের বিপরীতে ২০১৪ সালের পর থেকেই আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিজস্ব এলাকায় গণসংযোগ এবং উন্নয়নে অবদান এবং সর্বপরি আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের পক্ষে দলের প্রতিটি নেতা-কর্মীর ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিপুল বিজয়ে অবদান রেখেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এ সময় নির্বাচনের আগে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার জনগণ ও বুদ্ধিজীবীদের ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়ামী লীগের প্রতি সমর্থন প্রদান এবং গণসংযোগে অংশগ্রহণকেও তিনি একটি উল্লেখযোগ্য কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেন।
গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে এদেশের জনসাধারণ বিপুল ভোটে বিজয়ী করেছে।
তিনি বলেন,‘সরাসরি জনগণের সঙ্গে যোগাযোগের পাশাপাশি ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সাহায্যে নির্বাচনী প্রচার চালানো হয়েছে এবং বিরোধীদের সকল নেতিবাচক প্রচারের বিপরীতে ইতিবাচক প্রচার চালানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১:০০:৩৫ ১৫৯ বার পঠিত