আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, মানবাধিকার
লঙ্ঘনকারীদের নিয়ে সরকারের অবস্থান পরিষ্কার। বাংলাদেশে যারা মানবাধিকার লঙ্ঘন
করবে তাদের আইনের আওতায় এনে বিচার করা হবে। বাংলাদেশে মানবাধিকার
প্রতিষ্ঠা করা সরকারের অন্যতম লক্ষ্য এবং সরকার তা সব সময় করে যাচ্ছে। যার কারণে
এখন মানবাধিকার পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়েছে।
আজ সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে জাতিসংঘের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন আইনমন্ত্রী। এ সময় জাতিসংঘের
সিনিয়র মানবাধিকার বিষয়ক উপদেষ্টা হেইকা আলেফসেন ও সোকো
ইসিকাওয়া সহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘জাতিসংঘ মিশন আমাদের কাছে কয়েকটি বিষয়ে
জানতে চেয়েছে। আমরা তাদের সব বিষয়ে স্বচ্ছ ধারণা দিয়েছি। তারা আমাদের
কাছে সাক্ষ্য আইন ও বৈষম্য বিরোধ আইনের ব্যাপারে তাদের বক্তব্য দিয়েছে। তারা
জানতে চেয়েছে, এ দুই আইন কবে হবে। আমরা বলেছি, সাক্ষ্য আইন নিয়ে সরকার
কাজ করছে। আর বৈষম্য বিরোধ আইন নিয়ে আগামী মাসে একটি বড় আকারের
সভা করা হবে। সেখানে বিশ্বের অন্যান্য দেশের আইনে কি আছে সেটা জানার চেষ্টা
করা হবে। পাশাপাশি যারা এ আইনের ব্যাপারে আগ্রহী, তারা কী চায় এবং আমরা
খসড়ায় কি করছি তা দেখা হবে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও মানবাধিকার
পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। সেখানে সরকারের অবস্থান তুলে ধরা হয়েছে।’
জাহালমকে নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জাহালমের ঘটনা অত্যন্ত
দুঃখজনক। আমি এটার তীব্র নিন্দা জানাই। দুর্নীতি দমন কমিশন যেহেতু এ রকম
একটা ঘটনার ব্যাপারে অবহিত রয়েছে তাই তারা এ বিষয়ে অত্যন্ত দ্রুত পদক্ষেপ নেবে
বলে মন্ত্রী মনে করেন।
জাতিসংঘের সিনিয়র মানবাধিকার বিষয়ক উপদেষ্টা হেইকা আলেফসেন
বলেন, আমাদের সঙ্গে আইনমন্ত্রীর আলোচনা হয়েছে। আমরা কিছু আইনের ধারা,
মানবাধিকার, অর্থনীতি নিয়ে আলোচনা করছি। এক্ষেত্রে মানবাধিকার নিয়ে সরকার
অনেক কাজ করেছে। মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে এবং
আগামীতেও তা অব্যাহত রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১:৪৪:৫১ ১৪৮ বার পঠিত