নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ঢাকার চার পাশের নদী তীর দখল ও দূষণরোধে বিআইডব্লিউটিএ, সিটি কর্পোরেশন, পানি উন্নয়ন বোর্ড, ঢাকা ওয়াসা, পরিবেশ অধিদপ্তর, নৌপরিবহন অধিদপ্তর ও সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনকে সমন্বিতভাবে কাজ করার আহবান জানিয়েছেন।
আজ নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এক সভায় এই তিনি এই আহবান জানান।
ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর দখল ও দূষণ প্রতিরোধকল্পে চলমান উচ্ছেদ অভিযান কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করার লক্ষ্যে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন, পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আবদুস সামাদ, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক সামীম মোঃ আফজাল, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর এম মোজাম্মেল হক, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর সৈয়দ আরিফুল ইসলাম, সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক এবং বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জানানো হয়, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ২০১০ থেকে ২৬ জানুয়ারি ২০১৯ পর্যন্ত ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের তীরভূমিতে অবৈধভাবে গড়ে উঠা ১২ হাজার ,৮৬৩টি স্থাপনা উচ্ছেদ এবং ৫২১ দশমিক ৬২ একর তীরভূমি দখলমুক্ত করা হয়েছে। ঢাকা নদী বন্দরের আওতাধীন কামরাঙ্গীরচর এলাকায় ২৯ জানুয়ারি থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১ হাজার ১৯৯ টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে প্রায় ১০ একর তীরভূমি উদ্ধার করা হয়।
এছাড়াও নদী তীর যেন অবৈধভাবে দখল হয়ে না যায় সেজন্য নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বিআইডব্লিউটিএ নদীর সীমানা নির্ধারণ করে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও টঙ্গি নদী বন্দর এলাকায় ৯ হাজার ৫৭৭ টি সীমানা পিলার স্থাপন করা হয়। এগুলোর মধ্যে ঢাকায় ৪ হাজার ৬৩ টি, নারায়ণগঞ্জে ৫ হাজার ১১টি ও টঙ্গিতে ৫০৩ টি সীমানা পিলার স্থাপন করা হয়েছে।
সভায় জানানো হয় , ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও টঙ্গি নদী বন্দর এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে উঠা ৪৬ টি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের নেতৃত্বে শীঘ্রই বৈঠক করা হবে। ঢাকার চারপাশের বৃত্তাকার নৌপথে ১৩টি নীচু ব্রীজ সংস্কার ও পুনর্নির্মাণের বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০:৫৭:৫৩ ১৬২ বার পঠিত