শিল্পমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন বলেছেন, ‘বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী মেগা উদ্যোগে গ্রামকে শহর করার কাজ বাস্তবায়ন শুরু হয়ে গেছে। এরই অংশ হিসেবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বড়, মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পকারখানা গড়ে তোলা হবে। এছাড়া দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে একটি শিল্প বিশ্ববিদ্যালয় করা হবে।’
রবিবার দুপুরে নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় ঘোড়াশাল পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার প্রকল্প (জিপিইউএফপি) পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘আজকে আমাদের বছরে প্রায় ১৭ লাখ মে. টন সার আমদানি করতে হয়। জিপিইউএফপি প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে আমাদের আর আমদানি নয় বরং রফতানি করতে পারব। বর্তমানে পলাশ উপজেলায় ইউএফএফএল ও পিইউএফএফএল নামের যে দুইটি সরকারখানা রয়েছে। এ কারখানা দুটি প্রতি টন ইউরিয়া উৎপাদনে গ্যাসের ব্যবহার, ডাউন টাইম এবং রক্ষণাবেক্ষণ পুনরাবৃত্তির হার অস্বাভাবিক বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে বিসিআইসি পলাশ ইউরিয়া সরকারখানার স্থলে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বিল্ডার ফাইনেন্স পদ্ধতিতে দৈনিক ২ হাজার ৮’শ মে. টন (বার্ষিক ৯ লাখ ২৪ হাজার মে. টন) গ্রানুলার ইউরিয়া উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন একটি সর্বাধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর, শক্তি সাশ্রয়ী ও পরিবেশ বান্ধব সারকারখানা স্থাপন করতে যাচ্ছে।’
জিপিইউএফপি’র প্রকল্প পরিচালক মো. রাজিউর রহমান মল্লিকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন- শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কামাল আহাম্মেদ মজুমদার, নরসিংদী-২ আসনের সংসদ সদস্য ডা. আনোয়ারুল আশরাফ খান দিলীপ, নরসিংদী-৩ আসনের সংসদ সদস্য জহিরুল হক ভূঁইয়া মোহন, বিসিআইসি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আমিনুল আহছান, শিল্প মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব জিয়াউল রহমান খান, পলাশ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সৈয়দ জাবেদ হোসেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভাস্কর দেবনাথ বাপ্পি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহরিয়ার আলম ও ঘোড়াশাল পৌর মেয়র মো. শরীফুল হক শরীফ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২১:৫১:২৭ ২৩৭ বার পঠিত