বহুল আলোচিত ঈশ্বরদীর পাকশীর আওয়ামী লীগ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফিজুর রহমান সেলিম হত্যার ঘটনায় জড়িত আবদুল্লাহ আল বাকি ওরফে আরজু বিশ্বাসকে (৪৮) পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জহুরুল হক এবং অফিসার ইনচার্জ বাহাউদ্দিন ফারুকীর নের্তৃত্বে বিশেষ অভিযানে আরজুকে গ্রেফতার করা হয়। আরজু পাকশী ইউপির চেয়ারম্যান এনাম বিশ্বাসের ভাই এমদাদুল হক টুলু বিশ্বাসের ছেলে। সে ঈশ্বরদী উপজেলা যুবলীগের সাবেক সহ-সভাপতি বলে জানা গেছে।
সোমবার দুপুরে ঈশ্বরদী থানায় পাবনার পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম এক প্রেস ব্রিফিং-এ সেলিম হত্যার ঘটনায় আরজু বিশ্বাসের গ্রেফতারের বিষয়টি জানিয়েছেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার রাত ১০টার দিকে পাবনা সদরের হেমাইতপুর এলাকা হতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে আরজুর স্বীকোরক্তিতে রাত ১২.৪৫ মিনিটে তার বাড়ি হতে ১টি বিদেশী পিস্তল এবং ম্যাগাজিনসহ ২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।’
তিনি আরো জানান, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এই হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে আরজু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। যা আরো তদন্তের স্বার্থে এই মুহূর্তে প্রকাশ করা সম্ভব নয়। সোমবার তাকে হত্যা ও অস্ত্র উদ্ধারের মামলায় আদালতে হাজির করে রিমান্ডে আনা হলে সকল ঘটনা উন্মেচিত হবে।’
ওসি ফারুকী জানান, ‘আরজুর বিরুদ্ধে ঈশ্বরদী থানায় ১৯৯৪ সালের একটি হত্যা মামলাসহ দুটি মামলা রয়েছে।’
উল্লেখ্য, গত ৬ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টার সময় পাকশী ইউনিয়নের বিবিসি বাজার থেকে নিজ বাড়িতে প্রবেশের মুহূর্তে পাকশী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাাফিজুর রহমান সেলিমকে ওঁত পেতে থাকা আততায়ী গুলি করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে প্রথমে ঈশ্বরদী হাসপাতালে এবং পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
ঘটনার পর হত্যাকারী গ্রেফতারের দাবিতে প্রতিদিন পাকশীর রূপপুর এবং ঈশ্বরদীতে মুক্তিযোদ্ধা, এলাকাবাসী এবং সুধিসমাজ মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও সভা-সমাবেশ চালিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭:২৫:১৪ ১৯১ বার পঠিত