একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ গঠনের জন্য টেকসই উন্নয়নের বিকল্প নেই। বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ ২০৪১ সালের মেধ্যে উন্নত দেশে পরিণত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কাজেই যে কোনো কার্যক্রম বাস্তবায়নের সময় এসডিজি’র সাথে সম্পৃক্ত বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার দেয়ার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন পরিবশে, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন। আজ আগারগাঁও পরিবেশ ভবনে পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে তিনি এ নির্দেশ দেন।
অনুষ্ঠানে পরিবেশ উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার এবং পরিবেশ সচিব আদুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরীসহ মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং পরিবশে অধিদপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
কর্মকর্তা কর্মচারীদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, সারা দেশে যে সকল অবৈধ ইটভাটা রয়েছে সে সবের বিরুদ্ধে পর্যায়ক্রমে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। পরিবেশ নষ্ট করে কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠান চলতে পারবে না। নদী খাল পুনরুদ্ধারের কাজ শুরু হয়েছে। সাভারে ট্যানারি শিল্পের মাধ্যমে পরিবেশ ও নদী দূষণের বিষয়টি এখনই বন্ধ করতে হবে। সরকার বিশ্বাস করে, উন্নয়ন যদি পরিবেশবান্ধব না হয় সেই উন্নয়ন দেশের জন্য কখনো মঙ্গল বয়ে আনতে পারে না। পরিবেশ দূষণকারী জনগণের বন্ধু হতে পারে না। সারা দেশে পরিবেশ অধিদপ্তরের অফিস এবং জনবল বৃদ্ধির জন্য খুব শীঘ্রই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরো বলেন, সারা দেশে দৃশ্যমান কার্যক্রমের মাধ্যমে জনগণের মধ্যে পরিবেশ সম্পর্কে সচেতনতা এমনভাবে তৈরি করতে হবে যেন কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে পরিবেশ দূষণ না করে। আর যদি তা না হয় তাহলে আইনের কঠোর প্রয়োগের জন্য তিনি পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের নির্দেশ প্রদান করেন।
পরিবেশ উপমন্ত্রী বলেন, ‘সারা বিশ্ব আজ পরিবেশ সম্পর্কে সোচ্চার। আমাদের দেশটা একসময় প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর ছিল। এখনো কোনো অংশে কম নয়। আমরা এখনো যদি পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন না হই তাহলে আমাদের ভবিষ্যৎ খুব খারাপ হবে। আমরা তা কখনো হতে দিতে পারি না।’
অনুষ্ঠান শেষে মন্ত্রী, উপমন্ত্রী এবং সচিব পরিবেশ অধিদপ্তরের নব প্রতিষ্ঠিত পরীক্ষাগার পরিদর্শন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১:২৫:০১ ১৮৬ বার পঠিত