বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
সূরা নিসা
মদীনায় অবতীর্ণ
আয়াত : ৯১. ; রুকু ২৪
৭৯. যারা নফল সদকা প্রদানকারী মুসলিমদের প্রতি সদকার ব্যাপারে দোষারোপ করে এবং (বিশেষ করে) সেই লোকদের প্রতি যাদের পরিশ্রম করা ছাড়া আর কোনই সম্বল নেই তাদেরকে উপহাস করে, আল্লাহ তাদেরকে এ উপহাসের প্রতিফল দিবেন এবং তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।
৮০. (হে মুহাম্মাদ!) তুমি তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা কর অথবা না কর (উভয়ই সমান); যদি তুমি তাদের জন্য সত্তর বারও ক্ষমা প্রার্থনা কর তবুও আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমা করবেন না। কারণ, তারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের সাথে কুফরী করেছে। আর আল্লাহ এরূপ সত্যত্যাগী সম্প্রদায়কে পথ প্রদর্শন করেন না।
আল হাদিস
ইসলামের অন্যতম রুকন সালাতের বিবরণ
৬। তালহা ইবনে উবাইদুল্লাহ (রা) থেকে বর্ণিত। নজদের জনৈক অধিবাসী রাসূলুল্লাহ (সা)-এর দরবারে এলো। তার মাথার চুল উসকুখুসকু ও এলোমেলো ছিল। তার কণ্ঠের গুনগুন মৃদু আওয়াজ শোনা যাচ্ছিল; কিন্তু কি বলছে, তা বোঝা যাচ্ছিল না। শেষে সে নিকটে এসেই ইসলাম সম্পর্কে প্রশ্ন করতে লাগলো। রাসূলুল্লাহ (সা) বললেন, দিনে-রাতে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করতে হবে।” সে বললো, এছাড়া আমার আর কোন করণীয় আছে কি? তিনি বললেন, “না, তবে অতিরিক্ত নফল আদায় করতে পার।” রাসূলুল্লাহ (সা) বললেন, আর রমযানের রোযা রাখতে হবে।” সে বললো, ‘‘এছাড়া আমার আর কিছু করার আছে কি? রাসূলুল্লাহ (সা) বললেন “না, তবে নফল রোযা রাখতে পার। রাবী বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) তার কাছে সম্পদের যাকাত দানের কথাও বললেন। সে জিজ্ঞেস করলো, এছাড়া আমার উপর আর কিছু করণীয় আছে কি? রাসূল (সা) বললেন, “না, তবে নফল দান-খয়রাত করতে পারো।” রাবী বলেন, এরপর সে একথা বলতে-বলতে চলে গেলো যে, আল্লাহর কসম, আমি এর বেশিও করবো না এবং এর চেয়ে কমও করবো না।” রাসূলুল্লাহ (সা) বললেন, লোকটি যদি সত্যি বলে থাকে তাহলে সে সফলকাম হবে।”
(বুখারী-কিতাবুল ঈমান)
বাংলাদেশ সময়: ১৪:২৮:১৩ ১৭৯ বার পঠিত