রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ১৩ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব বেতার দিবস উপলক্ষে
নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বিশ্ব বেতার দিবস ২০১৯ উপলক্ষে আমি বেতারের শ্রোতাম-লীসহ
সংশ্লিষ্ট সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। একই সাথে বিশ্ব বেতার
দিবসে বাংলাদেশ বেতারের শ্রোতা সম্মেলন ২০১৯ আয়োজন ও স্মরণিকা
প্রকাশের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই।
বিশ্বব্যাপী বেতার একটি জনপ্রিয় গণমাধ্যম। পৃথিবীর যেকোনো
প্রান্তে সহজলভ্যতার কারণে মানুষের কাছে বেতার একটি গ্রহণযোগ্য
গণমাধ্যম হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। বর্তমান বিশ্বে বিভিন্ন দেশ-জাতি-
গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘাত ও হানাহানি ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভিন্ন ধর্ম,
বর্ণ ও মতের প্রতি অসহিষ্ণুতা, আধিপত্য প্রতিষ্ঠা ইত্যাদি সকল সংঘাত,
যুদ্ধ-বিগ্রহের মূল কারণ। শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠারক্ষেত্রে সংলাপ ও সহনশীল
মনোভাবের বিকল্প নেই। প্রচার কার্যক্রমে এ বিষয়গুলোকে তুলে ধরার মাধ্যমে
মানুষের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ জাগ্রত করতে বেতার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
রাখতে পারে। এ প্রেক্ষাপটে বিশ্ব বেতার দিবস ২০১৯ এর প্রতিপাদ্য “সংলাপ,
সহনশীলতা ও শান্তি” অত্যন্ত যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি।
বাংলাদেশ বেতার দেশের একটি ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান। ‘স্বাধীন বাংলা
বেতার কেন্দ্র’ হিসেবে আত্মপ্রকাশের মধ্য দিয়ে এ প্রতিষ্ঠান আমাদের মহান
মুক্তিসংগ্রামে অনন্য ভূমিকা পালন করে। সারাদেশে বাংলাদেশ বেতারের দুই
হাজারের অধিক শ্রোতা ক্লাব রয়েছে। শ্রোতাক্লাবগুলোকে শিশুদের স্কুলে
ভর্তি, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, যৌতুক নিরোধ, নারী শিক্ষার প্রসার,
ডিজিটাল বাংলাদেশসহ বিভিন্ন সামাজিক ইস্যুতে সম্পৃক্তকরণের মাধ্যমে
সরকারের সার্বিক উন্নয়ন কার্যক্রমকে বেগবান করা সম্ভব। মুক্তিযুদ্ধের
চেতনায় উজ্জীবিত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা ও দেশের সার্বিক জীবনমান উন্নয়নে
বাংলাদেশ বেতার নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে - এ প্রত্যাশা করি।
আমি বিশ্ব বেতার দিবস ২০১৯ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির
সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
বাংলাদেশ সময়: ২১:৫৪:০৪ ১৯৮ বার পঠিত