রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ১৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল
দিবস উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল দিবস উপলক্ষে আমি বাংলাদেশ প্রেস
কাউন্সিলসহ গণমাধ্যমের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে জানাই আমার আন্তরিক
শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের উন্নয়নে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল দেশের
একটি অনন্য প্রতিষ্ঠান। বঙ্গবন্ধু তাঁর দীর্ঘ সংগ্রামী জীবনের অভিজ্ঞতা
থেকে সংবাদপত্র ও গণমাধ্যমের ভূমিকা উপলব্ধি করেছিলেন। সেই উপলব্ধি থেকে
তিনি সাংবাদিকদের স্বার্থ সংরক্ষণের পাশাপাশি গণমাধ্যমকে স্বাধীন ও
মর্যাদাবান প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ প্রেস
কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠার পর থেকে সংবাদপত্রের গুণগত মান
নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি হলুদ সাংবাদিকতা রোধে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল
নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, তথ্যের অবাধ প্রবেশাধিকার এবং জনগণের
ক্ষমতায়ন পারস্পরিক সম্পর্কযুক্ত। গণতন্ত্রের বিকাশসহ এর প্রাতিষ্ঠানিক রূপ
দিতে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ সংবাদপত্রের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্বাধীন ও মুক্ত
গণমাধ্যম গণতন্ত্রকে সুসংহত করতে পারে, মানবাধিকার ও আইনের শাসন
প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ ও মতামত
পরিবেশনের মাধ্যমে সাম্য ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি পাঠকদের
প্রকৃত তথ্য জানাতে গণমাধ্যম কখনো পিছপা হবে না-এ বিশ্বাস আমার
রয়েছে।
বর্তমান সরকারের নেতৃত্বে বাংলাদেশ দ্রুত উন্নয়নের পথে এগিয়ে
যাচ্ছে। গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা, সাম্য, সুশাসন ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ
প্রতিষ্ঠাসহ ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে
সরকার নানা উদ্যোগ ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। এসব কর্মসূচির সুষ্ঠু
বাস্তবায়নে গণমাধ্যমের দায়িত্বশীলতা ও সহযোগিতা খুবই জরুরি বলে আমি
মনে করি। অনুসন্ধানী ও সৃজনশীল প্রতিবেদনের জন্য যেসব সাংবাদিক,
ফটোসাংবাদিক বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল পদক ২০১৯ পেয়েছেন আমি তাদের
আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।
বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের উন্নয়নে আরো
কার্যকর ভূমিকা পালন করবে-এ প্রত্যাশা করি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
বাংলাদেশ সময়: ২২:০৩:২৫ ১৮৫ বার পঠিত