২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্রে শাসকদল যেমন সুর চড়াচ্ছে, তেমনই বিরোধী শিবিরগুলিও মোদী বিরোধিতার পালে হাওয়া দিয়ে চলেছে৷ যার সাম্প্রতিক উদাহরণ যন্তরমন্তরে ধর্ণা মঞ্চ৷ বুধবার দিল্লিতে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ব়্যালিতে বিরোধী দলনেতাদের উপস্থিতি, আবার রাতে এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ারের বাসভবনে নেতা-নেত্রীদের বৈঠক, আর এই নিয়েই গুঞ্জন রাজনীতির অন্দরমহলে৷
শরদ পাওয়ারের বাড়িতে এই মহাবৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু, জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল৷ একই দিনে দ্বিতীয় দফার বৈঠকে ঠিক কী আলোচনা হল তা নিয়ে বাড়ছে কৌতূহলও৷ বৈঠকের পরে সকলে সাংবাদিকদের সামনে আসেন৷ কেজরিওয়াল জানান, বুধবার ধর্ণার পর সকলে ফের দেখা করেন৷ বলেন, মোদী এবং শাহকে সরাতে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে৷
রাহুল গান্ধী জানান, বৈঠক ইতিবাচক ছিল৷ বিভিন্ন সংস্থার ওপর হামলা হচ্ছে৷ একটি কমন মিনিমাম প্রোগ্রাম করা হবে৷ তবে অন্যান্য কথা বললেও, তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের প্রসঙ্গ তিনি এড়িয়ে যান বলে সূত্রের খবর৷ অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সকলেরই একচাই উদ্দেশ্য- মোদী সরকারকে সরানো৷
এদিকে শরদ পাওয়ার বলেন, এখনও পর্যন্ত কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি৷ কিন্তু একটা ভালো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে৷ তিনি আরও বলেন, ২৬ ফেব্রুয়ারি আবারও সব দল একসঙ্গে বৈঠক করবে৷ ফারুক আবদুল্লা জানান, একটি কমন মিনিমাম প্রোগ্রাম করা হবে, সেখানেই সব কথাবার্তা হবে৷
প্রসঙ্গত, বুধবার যন্তরমন্তরে আম আদমী পার্টির ধরনায় যোগ দেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্ধ্যোপাধ্যায়৷ সেখানে তিনি দাবি করেন, ‘‘দিল্লিতে কেরজিবাল লড়বে আমরা সকলে তাঁকে সমর্থন জানাবো৷’’ শুধু তাই নয় এদিন মমতা কংগ্রেস ও বামফ্রন্টের নাম উল্লেখ করে দাবি করেছেন, ‘‘বিজিপিকে হঠাতে আমরা সকলে একজোট হয়ে লড়ব৷ রাজ্যে আমাদের সঙ্গে কংগ্রেস ও বামেদের বিরোধ থাকতেই পারে কিন্তু জাতীয় স্তরে আমরা একজোট৷’’
মূলত গণতন্ত্র রক্ষার প্রশ্নে তিনি যে সিপিএম ও কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বাঁধতে প্রস্তুত এদিন তা স্পষ্ট করেন তৃণমূল নেত্রী নিজেই৷ এদিনের ধরনা মঞ্চে দেখা যায় বামফ্রন্টের সীতারাম ইয়েচুরি ও ডি রাজাকেও৷
বাংলাদেশ সময়: ১৫:০১:৪৩ ১৭৩ বার পঠিত