ঘোষণার বাকি আর মাত্র কয়েকদিন৷ তার আগেই লোকসভা ভোটে রাজ্যের যেসব পুলিশ অফিসার রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকবেন তাদের তালিকা চেয়ে পাঠাল নির্বাচন কমিশন৷ ইতিমধ্যেই রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসারের তরফে সেই চিঠি পৌঁছে গিয়েছে মুখ্য সচিবের কাছে৷
এই চিঠি দেওয়াতেই এবার নিয়মে বদল দেখছেন রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা৷ প্রচোলিত নিয়মে এতদিন ভোটের আগে কমিশনে পুলিশের তালিকা পাঠিয়ে দিতেন পুলিশ কমিশনার বা পুলিশ সুপার৷ কিন্তু এবার তড়িঘড়ি নিয়মে বদল৷ ভোটে আইন শৃঙ্খলা সামলানোর দায়িত্বে কারা থাকবেন তা কমিশন চিঠি দিয়ে জানতে চেয়েছে মুখ্যসচিবের কাছে৷ নতুন নিয়মে বিস্ময় প্রকাশ করছেন নবান্নের শীর্ষ কর্তারা৷
অনেকে আবার এই পদক্ষেপের পেছনে রাজনীতির ছায়া দেখতে পাচ্ছেন৷ সারদাকাণ্ডের তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদের কারণে সম্প্রতি কলকাতার নগরপালের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই আধিকারীকরা৷ প্রয়োজনীয় অনুমতি নেই বলে সেই সময় তাদের বাধা দেওয়া হয়৷ পরে কলকাতা পুলিশ আটক করে সিবিআই কর্তাদের৷ ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কেন্দ্র রাজ্য সংঘাত তীব্র হয়৷ সংবিধান রক্ষার দাবিতে মেট্রো চ্যানেলে ধর্নায় বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সেই মঞ্চেই বেশ কয়েকজন পুলিশ অফিসারকে দেখা যায় বলে দাবি কেন্দ্রের৷ বিরোধীরাও পুলিশের নিরপেক্ষতা নিয়ে নানা সময়ে প্রশ্ন তুলেছে৷
অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারদের কে কী ভোটের কাজে ব্যবহার করবে না কমিশন৷ কেন্দ্র রাজ্য সংঘাতের আবহে কমিশনের এই চিঠি সেই বিতর্কই উসকে দিল৷ মুখ্যসচিবের দেওয়া তালিকা ধরে নিরপেক্ষ পুলিশ অফিসার বাছাই করে এবারের ভোটে কাজে লাগাতে পারে কমিশন৷ চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে এমন সম্বাবনাই উজ্জ্বল হচ্ছে৷
বাংলাদেশ সময়: ২০:৪০:৫৩ ২২৩ বার পঠিত