জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন জনগণের প্রাণের নেতা। তিনি সব সময় মানুষের কাছাকাছি থেকে তাদের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাই তাঁর চিন্তায়, দর্শনে এবং অনুশীলনে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন বরাবরই কেন্দ্রীয় জায়গায় ছিল। বাংলাদেশের চকমপ্রদ উন্নয়ন অভিযাত্রার ভিত্তিও গড়ে দিয়ে গেছেন তিনিই।’-বলেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর এবং উন্নয়ন সমন্বয়ের সভাপতি অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান।
রবিবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯-তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন আয়োজিত অলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা উদ্বোধন করেন বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সদস্য সচিব কবি শেখ হাফিজুর রহমান এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন ভাষা সৈনিক আবুল হোসেন। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভাষা সৈনিক এডভোকেট গোলাম আরিফ টিপু ও কথা সাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক।
ড. আতিউর বলেন যে, বঙ্গবন্ধু অবান্ধব রাষ্ট্র পাকিস্তানের জন্মলগ্ন থেকেই এ দেশের মানুষের প্রতি পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠির বৈষম্যমূলক আচরণের বিষয়ে সজাগ ছিলেন। তিনি অনুধাবন করতে পেরেছিলেন যে এই বৈষম্যের রাজনৈতিক ও সামাজিক মাত্রার পাশাপাশি অর্থনৈতিক মাত্রাও ছিল প্রবল। তাই প্রাদেশিক সরকারের শিল্প মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করার সময় এবং তারপরেও এ দেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য সংগ্রাম করেছেন।
আরও পড়ুন: সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থী নিহত: বাস পোড়ানোর চেষ্টাকারীদের প্রতিহত করলেন শিক্ষার্থীরা
বৈষম্য কমাতে অর্থনৈতিক কমিশন গঠন করেছেন, অর্থনৈতিক কমিশনের প্রতিবেদনকে পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ ধামাচাপা দেওয়ার পর ৬ দফা আন্দোলনের মাধ্যমে অর্থনৈতিক মুক্তি আদায় করতে চেষ্টা করেছেন। এ জন্য বারবার জেলে যেতে হলেও তিনি আপোষ করেননি। এ দেশের মানুষের অর্থনৈতিক স্বাধীনতার জন্য বঙ্গবন্ধু তীব্র আকাঙ্খা এবং পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষের এ বিষয়ে অনিহা ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার পেছনে অন্যতম প্রধান নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:০৮:১৫ ২৪৮ বার পঠিত