আল কোরআন
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
সূরা মায়েদা
মদীনায় অবতীর্ণ।
আয়াত : ৬৯.৭০; রুকূ : ১৬
৭১. আর তারা এ ধারণাই করেছিল যে, কোন শাস্তিই হবে না, ফলে তারা আরও অন্ধ ও বধির হয়ে গেল, অতঃপর আল্লাহ তাদের তাওবা কবুল করলেন। তবুও তাদের অধিকাংশই অন্ধ ও বধিরই রইল; বস্তুত আল্লাহ তাদের কার্যকলাপ- সমূহ প্রত্যক্ষ করেন।
৭২. নিশ্চয়ই তারা কাফের হয়েছে যারা বলে, মসীহ ইবনে মারইয়াম আল্লাহ, অথচ মসীহ নিজেই বলেছিল, ‘হে বনী ইসরাঈল! তোমরা আল্লাহর ইবাদত কর! যিনি আমার রব এবং তোমাদেরও রব।’ নিশ্চয় যে ব্যক্তি আল্লাহর অংশী স্থাপন করবে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করে দিবেন এবং তার বাসস্থান হবে জাহান্নাম এবং এইরূপ অত্যাচারীদের জন্য কোন সাহায্যকারী থাকবে না।
৭৩. নিঃসন্দেহে তারাও কাফের যারা বলে, আল্লাহ তিনের (অর্থাৎ তিন মাবুদের) এক, অথচ এক মাবুদ ভিন্ন অন্য কোনই (হক) মাবুদ নেই। আর যদি তারা নিজ উক্তিসমূহ হতে নিবৃত্ত না হয়, তাহলে তাদের মধ্যে যারা কুফরীতে অটল থাকবে, তাদের উপর যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি পতিত হবে।
আল হাদিস
আল্লাহর নামে ইসলাম গ্রহণ করলে যুদ্ধাবস্থায়ও হত্যা নিষেধ
আবূ মাবাদ মিকদাদ ইবনুল আসওয়াদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করলামঃ আপনি কি বলেন যদি কোন কাফেরের সাথে আমার মোকাবেলা হয় এবং পারস্পরিক যুদ্ধে সে আক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য একটি গাছের আড়ালে আশ্রয় নিয়ে বলে, আমি আল্লাহর জন্য ইসলাম গ্রহণ করলাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ! তার ঐ কথা বলার পর আমি কি তাকে হত্যা করব? তিনি বলেনঃ তাকে হত্যা করো না। আমি বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ! সে তো আমার দুই হাতের একটি কেটেছে, অতঃপর একথা বলেছে। তিনি বলেনঃ তাকে হত্যা করো না। কেননা তুমি যদি তাকে হত্যা করো, তাহলে তুমি তাকে হত্যা করার পূর্বে যে মর্যাদায় ছিলে, সে সেই মর্যাদায় পৌঁছে যাবে; আর যে কলেমা সে পাঠ করেছে, সেই কলেমা পাঠের পূর্বে সে যে স্তরে ছিল; তুমি(তাকে হত্যা করলে) সেই স্তরে নেমে যাবে। ইমাম বুখারী ও ইমাম মুসলিম হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন। কথার অর্থ হলো: ইসলাম গ্রহণ করার কারণে সে ব্যক্তির রক্তপাত হারাম হয়ে গেছে। আর কথার অর্থ হলো: তুমি তাকে হত্যা করার দরুন তার ওয়ারিসদের পক্ষ থেকে কিসাস স্বরূপ তোমার রক্ত প্রবাহিত করা তাদের জন্য বৈধ হয়ে যাবে। কিন্তু তুমি তার মত কাফের হয়ে যাবে না। আল্লাহই ভালো জানেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১:৩০:০৮ ২৬৫ বার পঠিত