২০ মার্চ বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পারভীন সুলতানা দিতির তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী। দীর্ঘ রোগ ভোগের পর ২০১৬ সালের এই দিনে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এফডিসির নতুন মুখের সন্ধানে কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চলচ্চিত্রে নায়িকা হিসেবে আবির্ভূত হন দিতি।
একের পর এক সিনেমায় অভিনয় করে নিজেকে নিয়ে যান অনন্য এক উচ্চতায়। দেশের মানুষের কাছে হয়ে ওঠেন দারুণ জনপ্রিয়। এদিকে তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি এফডিসিতে তাদের কার্যালয়ে বিশেষ দোয়ার আয়োজন করেছে।
মস্তিষ্কে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ায় ২০১৫ সালের ২৫ জুলাই থেকে ভারতের চেন্নাইয়ের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন দিতি। মাঝে কিছুটা সুস্থ হয়ে দেশে ফিরে আসেন।
শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে একই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাকে। বেশ কিছুদিন চিকিৎসাধীন থাকার পরও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় ৮ জানুয়ারি এ অভিনেত্রীকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। দেশে ফেরার পরপরই তাকে ভর্তি করা হয় রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে।
১৯৬৫ সালের ৩১ মার্চ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে দিতির জন্ম। ১৯৮৪ সালে নতুন মুখের সন্ধানের মাধ্যমে দেশীয় চলচ্চিত্রে পদার্পণ করেন তিনি। তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র উদয়ন চৌধুরী পরিচালিত ‘ডাক দিয়ে যাই’। যদিও ছবিটি শেষ মুক্তি পায়নি। দিতি অভিনীত মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম চলচ্চিত্র ছিল আজমল হুদার ‘আমিই ওস্তাদ’।
৩১ বছরের অভিনয়জীবনে দুই শতাধিক ছবিতে কাজ করেছেন দিতি।
এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছবির মধ্যে আছে ‘হীরামতি’, ‘দুই জীবন’, ‘ভাই বন্ধু’, ‘উছিলা’, ‘লেডি ইন্সপেক্টর’, ‘খুনের বদলা’, ‘দুর্জয়’, ‘আজকের হাঙ্গামা’, ‘স্নেহের প্রতিদান’, ‘শেষ উপহার’, ‘চরম আঘাত’, ‘স্বামী-স্ত্রী’, ‘অপরাধী’, ‘কালিয়া’, ‘কাল সকালে’, ‘মেঘের কোলে রোদ’, ‘আকাশ ছোঁয়া ভালোবাসা’।
সিনেমার পাশাপাশি টিভি নাটকেও অভিনয় করেছেন দিতি। নাটক পরিচালনাও করেছেন। এ ছাড়া রান্নাবিষয়ক অনুষ্ঠানও উপস্থাপনা করেছেন। অভিনয়ের বাইরে মাঝে-মধ্যে গান গাইতেও দেখা গেছে তাকে। প্রকাশিত হয়েছে তার একক গানের অ্যালবামও। বিজ্ঞাপনচিত্রে মডেলও হন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১১:৩৭:৩৯ ১৫৮ বার পঠিত