রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ৩ এপ্রিল ‘জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস-২০১৯’
উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“তথ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন
কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধানে ‘জাতীয় চলচ্চিত্র
দিবস-২০১৯’ উদযাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে আমি
চলচ্চিত্র শিল্পী, কলাকুশলী, নির্মাতা, পরিচালক, প্রযোজক এবং চলচ্চিত্র
দর্শকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন ।
চলচ্চিত্র একটি শক্তিশালী গণমাধ্যম। চলচ্চিত্রের জীবন ঘনিষ্ঠ ও হদয়গ্রাহী
আবেদন সকল শ্রেণিপেশার মানুষের দয়কে প্রবলভাবে স্পর্শ করে। সচেতনতা
সৃষ্টি এবং উন্নত সমাজ গঠনে চলচ্চিত্রের গুরুত্ব তাই অপরিসীম। চলচ্চিত্রের
গুরুত্ব উপলব্ধি করে বাঙালি জাতির মুক্তির দূত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৭ সালের ৩ এপ্রিল শিল্প ও
বাণিজ্য মন্ত্রী হিসেবে তৎকালীন প্রাদেশিক পরিষদে বিল উত্থাপনের মাধ্যমে
প্রতিষ্ঠা করেন চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন। বঙ্গবন্ধুর সেই ঐতিহাসিক
উদ্যোগের ফলেই বাংলা চলচ্চিত্রে সৃষ্টি হয় প্রাণের নতুন স্পন্দন। এফডিসি
প্রতিষ্ঠার পর চলচ্চিত্র নির্মাতাদের সৃজনশীল কর্মতৎপরতায় এদেশে বহু কালজয়ী
চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে, জন্ম নিয়েছে অনেক গুণী শিল্পী। মাননীয়
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ৩ এপ্রিলকে ‘জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস’
হিসেবে ঘোষণা বাংলা চলচ্চিত্রের উন্নয়নে একটি যুগোপযোগী পদক্ষেপ বলে
আমি মনে করি।
সরকার চলচ্চিত্রের উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে।
চলচ্চিত্রকে শিল্প হিসেবে ঘোষণাসহ চলচ্চিত্র নির্মাণে বিশ্বমানের সুযোগ-
সুবিধা সৃষ্টির লক্ষ্যে বিএফডিসি আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্প এবং
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ফিল্ম সিটি (১ম পর্যায়) প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
এছাড়া চলচ্চিত্র ও টেলিভিশনের জন্য দক্ষ কলাকুশলী সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট। আমি আশা করি, চলচ্চিত্র
নির্মাতাগণ এসব সুযোগ-সুবিধা কাজে লাগিয়ে অধিক সংখ্যক
জীবনঘনিষ্ঠ ও বিনোদনধর্মী চলচ্চিত্র দর্শকদের উপহার দিতে সক্ষম হবে।
একসময় বাংলা চলচ্চিত্রের যে কালজয়ী আবেদন ছিলো তা আজ নানা
কারণে হারাতে বসেছে। দর্শকরা আজ হয়ে পড়েছে হল বিমুখ। ফলে অধিকাংশ
শহরে সিনেমা হলগুলো বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। সময়ের চাহিদাকে ধারণ করে
কীভাবে হলগুলো সিনেমানুরাগী দর্শকশ্রোতাদের উপযোগী করা যায় তা ভেবে
দেখতে হবে, নিতে হবে যথাযথ উদ্যোগ। বাংলা চলচ্চিত্র হারানো গৌরব ফিরে
পাক - এ প্রত্যাশা করি।
‘জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস-২০১৯’ উদযাপন সফল হোক-এ কামনা করি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
বাংলাদেশ সময়: ১৭:২৫:০২ ২৩৩ বার পঠিত