পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের রোড শোতে হামলার পর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভাস্কর্য ভাঙার ঘটনায় পরস্পরকে দুষছে বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেস।
ঘটনাকে কেন্দ্র করেই তুমুল উত্তেজনা বিরাজ করছে কলকাতায়। নির্বাচনী মাঠ তুমুল রণসাজে রূপ নিয়েছে। এরই মধ্যে অমিত শাহসহ বেশ কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
মঙ্গলবারের ওই রোড শোতে হামলা করা হয় এবং ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের একটি ভাস্কর্য গুঁড়িয়ে দেয়া হয়।
পুরো ঘটনার জন্য তৃণমূল কংগ্রেস দায়ী বলে অভিযোগ বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের।
বিজেপির বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ তুলে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘বাংলার নবজাগরণের অন্যতম পথিকৃত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। তার মূর্তি ভাঙতে হাত কাঁপবে না বাংলার বাইরের সংস্কৃতির বিজেপিদের। যাদের বাংলার সংস্কৃতি সম্পর্কে ধারণা নেই, ‘তারাই ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙতে পারে।’
এমন যুক্তি দেখিয়ে তিনি ইতিহাস ঘেঁটে দেখতে বলেন। এর আগে বিজেপি ও এর সমর্থকরাই মূর্তি ভেঙেছে দাবি করে মমতা ব্যানার্জি বৃহস্পতিবার ফেসবুকে লেখেন- ‘ত্রিপুরায় ২০১৮-এ ক্ষমতায় এসে বহুদিনের পুরনো মূর্তি ভেঙে দেয় বিজেপি। সেদিন বিজেপি বুলডোজার এনেছিল।’
তিনি আরও লেখেন, ‘বিজেপির নেতৃত্বে সংবিধানের প্রণেতা বিআর আম্বেদকরের উত্তরপ্রদেশের মেরঠের মূর্তি ভাঙা হয়।’
মমতার সব যুক্তিকে নাকচ করে দিয়ে বিজেপির অভিযোগ, ‘নির্বাচনের শেষ দফার ভোটগ্রহণের পরিবেশ ও বিজেপির ভাবমূর্তি নষ্ট করতে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙচুর করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।’
এভাবে দিনভর অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগের পর বিদ্যাসাগরের মূর্তি তৈরির প্রতিশ্রুতি দেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
তিনি জানান, ‘যে মূর্তিটি ভাঙা হয়েছে, সেখানে আরও উন্নতমানের ধাতু ব্যবহার করে বিদ্যাসাগরের মূর্তি বানানো হবে।’
তবে মোদির সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পশ্চিমবঙ্গ ভিক্ষা নেবে না মন্তব্য করে মমতা জানান, ‘এমন মূর্তি পশ্চিমবঙ্গের মানুষই তৈরি করতে পারবে।’
এর পর তিনি মোদি সরকারের কটাক্ষ করে বলেন, ‘পাঁচ বছর তো দেশ চালালো, রামচন্দ্রের একটি ছোট মন্দিরও তৈরি করতে পারেনি এ সরকার। আবার বিদ্যাসাগরের মূর্তি!
বাংলাদেশ সময়: ১২:৪০:১৮ ১৩৬ বার পঠিত