বাগদাদে ইরাকি মিলিশিয়াদের সঙ্গে বৈঠক করে তাদের ছায়া যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হতে বলেছেন ইরানের শীর্ষ জেনারেল কাসেম সুলাইমানি।
ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই তিনি এই বৈঠক করেছেন বলে ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড ডেইলি মেইলের খবরে বলা হয়েছে।
ইরানের শক্তিশালী কুদস বাহিনীর প্রধান কাসেম সোলাইমানি গেরিলা যুদ্ধের ওপর বিশেষজ্ঞ। সপ্তাহ তিনেক আগে ইরাকি গেরিলাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইতিমধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ সম্পর্ক আরও অবনতির দিকে যাওয়ার মধ্যেই গেরিলাদের জড়ো করতে তিনি উদ্যোগ নিয়েছেন।
তার এমন পদক্ষেপের কারণে ওয়াশিংটন, লন্ডন ও বাগদাদের মধ্যে ক্ষিপ্ত কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু হয়েছে। এসব দেশের কর্মকর্তাদের আশঙ্কা, দুই বড় শক্তির মধ্যে সংঘাতের ক্ষেত্র হতে যাচ্ছে ইরাক।
কাসেম সুলাইমানির ওই বৈঠকের প্রতিক্রিয়ায় বাগদাদ ও ইরবিল থেকে অগুরুত্বপূর্ণ কর্মচারীদের ফিরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এছাড়া ইরাকে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতেও হুমকির মাত্রা বাড়ছে।
ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরাকের বিভিন্ন শিয়া গোষ্ঠীর নেতাদের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করছেন কাসেম সোলাইমানি। কিন্তু বৈঠকে তার কথার সুর ছিল খুবই কঠোর।
একটি সূত্র জানায়, এটা কেবল অস্ত্রের আহ্বানই ছিল না। বরং তার আগমনের উদ্দেশ্য ছিল ভিন্ন কিছু।
ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যে সাম্প্রতিক কথার লড়াই ও উত্তেজনা বাড়ছে। তার প্রেক্ষাপটে কোনো অশুভ পরিকল্পনা কাজ করছে বলে ধরে নেয়া হচ্ছে।
ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর অবিচ্ছেদ্য অংশ হচ্ছে আল কুদস বাহিনী। এতে প্রায় পাঁচ লাখ সক্রিয় সামরিক সদস্য রয়েছে।
গত ১৫ বছর ধরে মেজর জেনারেল কাসেম সুলাইমানি একজন গুরুত্বপূর্ণ সামরিক কৌশলী হিসেবে তৈরি হয়েছেন। ইরাক ও সিরিয়ায় ক্ষমতা নির্ণয়েও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের উপস্থিতি সুসংহত করতে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২১:২১:০০ ১৩২ বার পঠিত