কালবৈশাখী ঝড়ে পীরগাছার ১৫ গ্রাম লণ্ডভণ্ড

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » কালবৈশাখী ঝড়ে পীরগাছার ১৫ গ্রাম লণ্ডভণ্ড
শুক্রবার, ১৭ মে ২০১৯



---

রংপুরের পীরগাছায় প্রচণ্ড কালবৈশাখী ঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে ১৫টি গ্রামের আড়াই শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত, কয়েক’শ হেক্টর জমির উঠতি ধান, ভূট্টা, কলাক্ষেত বিনষ্টসহ অসংখ্য উপড়ে গেছে।

শুক্রবার উপজেলার ৩টি ইউনিয়নের ওপর দিয়ে কালবৈশাখী ঝড় বয়ে গেছে।

ঝড়ে কমপক্ষে ২০টি বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে পড়ায় এবং সংযোগ কেবল ছিঁড়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে। এতে করে উপজেলা এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক দুর্বল হয়ে পড়েছে।

রমজানের সাহরির পর ফজরের নামাজ শেষে মানুষজন ঘুমন্ত থাকাকালে আকস্মিকভাবে কালবৈশাখী ঝড় ও শিলা বৃষ্টি শুরু হয়।

উত্তরদিক থেকে প্রচণ্ড বেগে বাতাশ ও শিলা বৃষ্টি উপজেলার পীরগাছা সদর, কৈকুড়ী ও কান্দি ইউনিয়নে আঘাত হানে। এতে ওই ইউনিয়নগুলোর ১৫টি গ্রামের কমপক্ষে আড়াইশ কাচা ও আধাপাকা ঘরবাড়ি এবং কান্দিরহাট স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভবন বিধ্বস্ত হয়।

ঝড় ও শিলা বৃষ্টির আঘাতে কমপক্ষে দুই হাজার হেক্টর জমির পাকা ইরিধান, উঠতি কলা ও ভূট্টা বিনষ্ট হয়ে ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়। এছাড়াও উপড়ে গেছে অসংখ্য গাছপালা।

পীরগাছা ইউনিয়নের অনন্তরাম বড়বাড়ি গ্রামের আবুল কাশের ছেলে রবিউল ইসলাম ও বড়পানসিয়া গ্রামের ময়নুল ইসলাম জানান, ফজরের নামাজের পর ঘুমন্ত অবস্থায় হঠাৎ করে কালবৈশাখী ঝড় ও শিলা বৃষ্টি শুরু হয়। তাদের পরিবারের লোকজন কোনোমতে ঘর থেকে বেরিয়ে প্রাণ রক্ষা করলেও ঘরের ওপরে বড় ২-৩টি গাছ ভেঙে পড়ে এবং প্রচণ্ড বাতাসে ঘরের চাল উড়িয়ে নিয়ে গিয়ে তাদের বসতবাড়ি লণ্ডভণ্ড করে দেয়।

তালুকইশাদ কালিতলা গ্রামের মামুনুর রশিদ জানান, ঝড়ের তাণ্ডবে তার ২ একর জমিতে চাষ করা কলা ক্ষেতের কমপক্ষে ৬০০ কলা গাছ মাটির সঙ্গে মিশে গেছে।

কান্দিরহাট স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান জানান, ঝড়ের তাণ্ডবে প্রতিষ্ঠানের একটি বড় গাছ ভেঙে পড়ে শ্রেণিকক্ষের একটি দালানঘর বিধ্বস্ত হয়েছে।

রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ পীরগাছা জোনাল অফিসের এজিএম মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ে পীরগাছা বাজারসহ কবলিত এলাকাগুলোর প্রায় ২০টি বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে গেছে। এ ছাড়া ৪০-৫০টি স্থানে ছিঁড়ে গেছে বৈদ্যুতিক কেবল। ফলে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা লোকমান আলম বলেন, কালবৈশাখী ও শিলাবৃষ্টিতে উপজেলার ৩টি ইউনিয়নের কমপক্ষে ৩শ হেক্টর জমির পাকা ধান, উঠতি কলা ও ভূট্টা ক্ষেতের ক্ষতিসাধন হয়েছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল আজিজ জানান, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে দুর্গত এলাকাগুলো পরিদর্শন এবং বসতবাড়ি হারানো মানুষগুলোকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জরুরি সহযোগিতা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১:২৫:২৩   ১৩৩ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

ছবি গ্যালারী’র আরও খবর


সিলেটের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ
আজকের রাশিফল
আল কোরআন ও আল হাদিস
গুজব উপেক্ষা করে জনগণ ভ্যাকসিন নিচ্ছে
অর্পিত সম্পত্তি বিষয়ক চিহ্নিত সমস্যাগুলো যথাযথ সংশোধন করা হবে - ভূমি সচিব
৬টি সেক্টরকে শিশুশ্রমমুক্ত ঘোষণা করলো সরকার
ফসল উৎপাদন বাড়াতে অঞ্চল ভিত্তিক ‘জোন ম্যাপ’ প্রণয়নের ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর
দেশের সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভাগুলোতে জনস্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র - এলজিআরডি মন্ত্রী
হঠাৎ অজানা কারণেই বেড়ে গেলো পেঁয়াজের দাম
স্পীকারের সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত অ্যালেজান্ড্রা বের্গ ভন লিনডে-র সৌজন্য সাক্ষাৎ

আর্কাইভ