ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, তথ্যপ্রযুক্তি
বিকাশের ফলে পৃথিবী বর্তমানে এমন এক জায়গায় এসেছে যেখানে ভয়েজ কলের দিন
প্রায় শেষ। ভয়েজ কল প্রযুক্তি আইপি নির্ভর প্রযুক্তিতে বিকশিত হবে। ডাটা দিয়ে মানুষ
কল করবে। তিনি বলেন, ৫জির আবির্ভাবের ফলে প্রচলিত ব্রডব্যান্ড সেবাদানকারী
প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রয়োজনীয়তা থাকবে কিনা সেটাও ভাববার সময় এসেছে। এছাড়াও
ভবিষ্যতের পৃথিবীতে ফোন অপারেটর ছাড়াই বিশেষ ফোনে কথা বলার প্রযুক্তিও আবিষ্কৃত
হচ্ছে।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য
সংঘ দিবস ২০১৯ উপলক্ষে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের উদ্যোগে বিটিআরসি
আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস ২০১৯ এর এ বারের প্রতিপাদ্য
‘ব্রিজিং দি স্টান্ডার্ডাইজেশন গ্যাপ’ অত্যন্ত সময়োপযোগী উল্লেখ করে বলেন
ডিজিটাল শিল্প বিপ্লব বা চতুর্থ শিল্প বিপ্লব পৃথিবীর সকল দেশে কিংবা সকল মানুষের
জন্য একইভাবে প্রযোজ্য হবে না। শিল্পোন্নত দেশের বড় চ্যালেঞ্জ তাদের শ্রম দেওয়ার মতো
মানুষ নাই। তাদের জন্য শিল্প বিপ্লব হচ্ছে কিভাবে মানুষ ছাড়া কাজ করা যায়, কিভাবে শিল্প
কারখানা সচল রাখা যেতে পারে। এই বিষয়ক প্রযুক্তিকে তারা স্বাগত জানাবে। আমাদের
জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে বিপুল মানবসম্পদকে ব্যবহার করা।
মোস্তাফা জব্বার স্বাধীনতার মাত্র দুই বছরের মধ্যে ১৯৭৩ সালে আইটিইউ এর
সদস্য পদ অর্জনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর দূরদৃষ্টি সম্পন্ন ভূমিকা তুলে ধরেন। তিনি বলেন,
যুদ্ধের ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়েও বহির্বিশ্বের সাথে টেলিযোগাযোগ সংযোগ সুদৃঢ়
করতে ১৯৭৫ সালের ১৪ জুন বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করে
টেলিযোগাযোগ উন্নয়নের মাইলফলক স্থাপন করেন।
বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য উত্তরসূরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ
বিনির্মাণের যুগান্তকারী কর্মসূচি বাংলাদেশকে ডিজিটাল শিল্প বিপ্লবের নেতৃত্বের
জায়গায় পৌঁছে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদের
দিক নির্দেশনায় গত দশ বছরে তথ্যপ্রযুক্তি দুনিয়ায় বাংলাদেশ অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন
করেছে। মহাকাশেও আজ বাংলাদেশ পৃথিবীর ৫৭তম স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণকারী দেশের মর্যাদা
অর্জন করেছে।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান মোঃ জহিরুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইসিটি
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব অশোক
কুমার বিশ্বাস এবং আইএসপিএবি’র সভাপতি এম এ হাকিম বক্তৃতা করেন।
তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে তথ্যপ্রযুক্তি এবং
টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়ন ও অগ্রগতির অন্যতম প্রধান হাতিয়ার। শিক্ষা,
চিকিৎসা, কৃষি, ব্যবসা বাণিজ্যসহ সর্বক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তির প্রভাব অনস্বীকার্য।
পরে মন্ত্রী বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস ২০১৯ উপলক্ষে আয়োজিত রচনা
প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে সনদ বিতরণ করেন।
স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত
অনুষ্ঠানে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী ডাক অধিদপ্তর কর্তৃক
বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস এর সুবর্ণজয়ন্তী -২০১৯ উদযাপন উপলক্ষে
প্রকাশিত দশ টাকা মূল্যমানের একটি স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করেন।
এই উপলক্ষে দশ টাকা মূল্যমানের একটি উদ্বোধনী খাম, ৫ টাকা মূল্যমানের একটি
বাংলাদেশ সময়: ২২:২৭:২৬ ১৪৭ বার পঠিত