ঈদকে ঘিরে সক্রিয় অজ্ঞানপার্টির সদস্যরা

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » ঈদকে ঘিরে সক্রিয় অজ্ঞানপার্টির সদস্যরা
শনিবার, ১৮ মে ২০১৯



---

আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে রাজধানীতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা। শহরের বিভিন্ন মার্কেট, শপিংমল, বাসস্ট্যান্ড, সদরঘাট ও রেলস্টেশন এলাকায় আসা কিছু ব্যক্তি টার্গেট করে অভিনব কায়দায় তাদের কাছ থেকে সবকিছু লুটে নিচ্ছে তারা।

শনিবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার মাহবুব আলম।

এর আগে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক টিম গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে অজ্ঞান পার্টির ৬৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। পরে তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

গ্রেপ্তারকতৃরা হলেন আবদুস ছালাম মীর, ফালান, মনির হোসেন, সাকিব হোসেন, ইকবাল হোসেন, আফজাল হোসেন আরিফ, মনির হোসেন, সানী, জুয়েল, মিজানুর রহমান, শামিম, বাদল দেওয়ান, সেলিম, আসিফ উল রিন্টু, শাহ আলম, শাহিন, আব্দুর রহমান, রকিব, টিটু, আশ্রাফ, রাশেল, হোসেন, সেন্টু মন্ডল, রিপন সিকদার, হৃদয় মিয়া, মুন্না, সেন্টু মাঝি, আশ্রাফুল, রেজাউল, জাহাঙ্গীর হোসেন, রবিন আহাম্মেদ রাজ, বাবু, মাসুদ আলাম, সাইফুল ইসলাম, সুমন, রাজু, ফজলে রাব্বী, সবুজ, শফিকুল ইসলাম, আলম, ইসমাইল হোসেন চৌধুরী, দেলোয়ার হোসেন, নূরে আলম, শহিদ আলী, রুবেল হাওলাদার, বাবু আকন্দ, আব্দুল মোতালেব, রুবেল মিয়া, রহমত আলী, জাহেদ,রিয়াজ, জসিম উদ্দিন, রুবেল, কাওসার মাহমুদ কিরন, আজাদ, জলিল ফকির, মাইনুদ্দিন চিসতি, রিপন হোসেন, রতন, অনিক হাসান ওরফে শান্ত, জাকির হোসেন ওরফে ফয়সাল, মাছুদ রানা, মানিক ও শ্রাবনী। এ সময়ে তাদের কাছ থেকে চেতনানাশক ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা জানায় পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরকে সামনে রেখে তারা ঢাকা শহরের বিভিন্ন মার্কেট, শপিংমল, বাসস্ট্যান্ড, সদরঘাট ও রেলস্টেশন এলাকায় আসা ব্যক্তিদের টার্গেট করে সখ্যতা স্থাপন করে। এরপর অপর সদস্যরা টার্গেটকৃত ব্যক্তিকে ট্যাবলেট মিশ্রিত খাদ্যদ্রব্য খাওয়ার আমন্ত্রণ জানায়। টার্গেটকৃত ব্যক্তি রাজি হলে ট্যাবলেট মিশ্রিত খাদ্যদ্রব্য তাকে খাওয়ায় এবং নিজেদের সদস্যরা সাধারণ খাবার গ্রহণ করে। খাদ্যদ্রব্য গ্রহণের পর টার্গেটকৃত ব্যক্তি অচেতন হলে তারা তার মূল্যবান সামগ্রী নিয়ে চলে যায়। এক্ষেত্রে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা খাদ্যদ্রব্য হিসেবে চা, কফি, জুস, ডাবের পানি, পান, ক্রিম জাতীয় বিস্কিট ইত্যাদি ব্যবহার করে।

মাহবুব আলম বলেন, অজ্ঞানপার্টির সদস্যরা অভিনব কৌশল হিসেবে মানুষকে অজ্ঞান করার পর তার ব্যবহৃত মোবাইল থেকে নিকটাত্মীয়কে ফোন করে। অজ্ঞান হওয়া ব্যক্তি তাদের কাছে আটক আছে বলে ফোনে জানানো হয়। তাকে মুক্ত করতে বিকাশ বা অন্যকোনো মাধ্যমে টাকা দাবি করে তারা। পরে টাকা পাঠালে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা টাকা নিয়ে মোবাইল বন্ধ করে পালিয়ে যায়। আটকদের বিরুদ্ধে ডিএমপির একাধিক থানায় মামলা করা হয়েছে বলে জানান মাহবুব আলম।

বাংলাদেশ সময়: ২২:৫০:১২   ১৪৯ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

ছবি গ্যালারী’র আরও খবর


সিলেটের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ
আজকের রাশিফল
আল কোরআন ও আল হাদিস
গুজব উপেক্ষা করে জনগণ ভ্যাকসিন নিচ্ছে
অর্পিত সম্পত্তি বিষয়ক চিহ্নিত সমস্যাগুলো যথাযথ সংশোধন করা হবে - ভূমি সচিব
৬টি সেক্টরকে শিশুশ্রমমুক্ত ঘোষণা করলো সরকার
ফসল উৎপাদন বাড়াতে অঞ্চল ভিত্তিক ‘জোন ম্যাপ’ প্রণয়নের ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর
দেশের সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভাগুলোতে জনস্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র - এলজিআরডি মন্ত্রী
হঠাৎ অজানা কারণেই বেড়ে গেলো পেঁয়াজের দাম
স্পীকারের সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত অ্যালেজান্ড্রা বের্গ ভন লিনডে-র সৌজন্য সাক্ষাৎ

আর্কাইভ