‘সরকার কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণ শুরু করেছে এবং অচিরেই শতভাগ
যান্ত্রিকীকরণ সম্পন্ন করা হবে। কৃষিতে ভর্তুকির ৩ হাজার কোটি টাকা
যান্ত্রিকীকরণে ব্যয় করা হবে।’
আজ (মঙ্গলবার) কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক রাজধানীর বাংলাদেশ
কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) অডিটোরিয়ামে সার সুপারিশমালা
হ্যান্ডবুক-২০১৮ এর মোড়ক উন্মোচন এবং দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানে
এসব কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, মিলারদের আমরা জরুরিভিত্তিতে ধান কেনার জন্য
বলেছি। সরকার ১২ লাখ টন ধান ও ২ লাখ টন চাল দ্রুত কিনবে। ৩ কোটি ৫০ লাখ
টন চাল উৎপাদনের বিপরীতে ১০-১২ লাখ টন কিনলে বাজারে খুব বেশি প্রভাব
পড়বে না। তবে সীমিত পর্যায়ে রপ্তানিরও উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। ভারত, পাকিস্তান
ও থাইল্যান্ডের সাথে প্রতিযোগিতা করে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশ করতে
হবে।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কিছু মিডিয়া বলে থাকে সরকার কৃষকের সাথে
নেই। কৃষকের পাশে সরকার না থাকলে কিভাবে আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ
হয়েছি। বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এ কথা বলা হচ্ছে।
খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন হয়েছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন নতুন
ফসলের জাত উদ্ভাবন ও আধুনিক কৃষির মাধ্যমে। কৃষকদের কল্যাণে সরকার সব
ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, সারের ব্যবহার অনেক কৃষক পরিমিতভাবে করেন না।
অনেক সময় বেশি, আবার অনেক সময় কম ব্যবহার করে থাকেন। এজন্য সচেতনতা
দরকার এবং কৃষকদের প্রশিক্ষিত করা দরকার। কৃষির সকল ক্ষেত্রে আমরা উন্নয়নের
দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। এখন সারা বছর ধরে ফসল হচ্ছে। এ ফসল উৎপাদন অব্যাহত
রাখার জন্য সার সুপারিশমালা হ্যান্ডবুক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বিএআরসি’র চেয়ারম্যান ড. মোঃ কবির ইকরামুল হকের সভাপতিত্বে
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী
কমিটির সদস্য আব্দুল মান্নান ও কৃষি সচিব মোঃ নাসিরুজ্জামান। সার
সুপারিশমালা হ্যান্ডবুক-২০১৮ এর ওপর বিস্তারিত উপস্থাপনা করেন সার্ক কৃষি
কেন্দ্রের পরিচালক ড. শেখ মোঃ বখতিয়ার।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:০৩:১৫ ১৯০ বার পঠিত