আজ ১৯তম তারাবিতে সূরা আহজাবের চতুর্থ রুকুর শেষার্ধ থেকে সূরার সমাপ্ত পর্যন্ত পড়া হবে। সঙ্গে সূরা সাবা, সূরা ফাতির এবং সূরা ইয়াসিনের দ্বিতীয় রুকুর দ্বিতীয়ার্ধ পর্যন্তও পঠিত হবে। পারা হিসেবে আজ পড়া হবে ২২তম পারা।
পাঠকদের জন্য আজকের তারাবিতে পঠিত অংশের মূলবিষয়বস্তু তুলে ধরা হল।
৩৩. সূরা আহজাব : ৩১-৭৩
চতুর্থ রুকুর শেষার্ধ। ৩১ থেকে ৩৪ নম্বর আয়াতে প্রথমার্ধের ধারাবাহিকতায় নবী (সা.) এর পরিবারকে হেদায়াতমূলক নসিহত করা হয়েছে।
পঞ্চম ও ষষ্ঠ রুকু। ৩৫ থেকে ৫২ নম্বর আয়াতে নবী (সা.)কে কেন্দ্র করে একান্ত কিছু বিধান দেওয়া হয়েছে। যা শুধু নবী (সা.) এর জন্যই খাস।
সপ্তম থেকে নবম রুকু। ৫৩ থেকে ৭৩ নম্বর আয়াতে ক্রমান্বয়ে আলোচনা এসেছে। প্রথমে মুমিনদের নসিহত। পরে নবী পরিবারের নারীদের জন্য বিশেষ বিধান। তারপর নবীর জন্য খাস হুকুম। সর্বশেষ মুমিনদের সতর্ক ও সচেতন করেই সূরার সমাপ্তি টানা হয়েছে।
৩৪. সূরা সাবা : ১-৫৪
৫৪ আয়াত বিশিষ্ট সূরা সাবা নাজিল হয়েছে মক্কা শরিফে। এর রুকু সংখ্যা ছয়। আজ পুরো সূরাই পঠিত হবে।
প্রথম রুকু। ১ থেকে ৯ নম্বর আয়াত। সূরা শুরুই হয়েছে জ্ঞানী ও সত্য অস্বীকারকারীর মাঝে পাথর্ক্য বর্ণনা করে। জ্ঞানী ছাড়া অন্যরাই কেবল সত্য অস্বীকার করতে পারে।
দ্বিতীয় রুকু। ১০ থেকে ২১ নম্বর আয়াতে হজরত দাউদ এবং সোলাইমান (আ.) এর কথা বলা হয়েছে। বলা হয়েছে সাবা সম্প্রদায়ের কথাও।
তৃতীয় ও চতুর্থ রুকু। ২২ থেকে ৩৬ নম্বর আয়াতে কাফেরদের প্রতি আল্লাহ তায়ালা নিজেই প্রশ্ন করে উত্তর দিয়েছেন আবার কখনো কখনো তাদের প্রশ্ন তুলে ধরে তার অসাড়তা প্রমাণ করেছেন।
পঞ্চম ও ষষ্ঠ তথা শেষ রুকু। ৩৭ থেকে ৫৪ নম্বর আয়াতে বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী সবাইকে সতর্ক ও সচেতন হওয়ার তাগিদ দেয়া হয়েছে বারবার। এভাবেই সূরার সমাপ্তি টানা হয়েছে।
৩৫. সূরা ফাতির : ১-৪৫
সূরা ফাতির। অবতীর্ণ হয়েছে মক্কায়। আয়াত সংখ্যা ৪৫। রুকু পাঁচটি। আজ পঠিত হবে পূর্ণ সূরাই।
প্রথম রুকু। ১ থেকে ৭ নম্বর আয়াতে মানুষকে পরকালের প্রতি ইমানের উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে সূরার সূচনা হয়েছে।
দ্বিতীয় রুকু্। ৮ থেকে ১৪ নম্বর আয়াতে যুক্তির আলোকে বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে কেন আখেরাতের প্রতি ইমান আনা আবশ্যক।
তৃতীয় রুকু। ১৫ থেকে ২৬ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে আখেরাতে একজন মানুষ কত বেশি অসহায় হয়ে পড়বে। শুধু ইমানই তার একমাত্র সহায় হবে।
চতুর্থ থেকে ষষ্ঠ রুকু। ২৭ নম্বর আয়াতে আবারো যুক্তি দিয়ে বান্দাকে আখেরাতে বিশ্বাসের প্রয়োজনীয় বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে। আর বলা হয়েছে, একদিন বান্দাকে হিসাব দিতেই হবেই। এভাবেই সূরার ইতি টানা হয়েছে।
৩৬. সূরা ইয়াসিন : ১-৮৩
সূরা ইয়াসিন। নাজিল হয়েছে মক্কায়। আয়াত সংখ্যা ৮৩। রুকু পাঁচটি। আজ পঠিত হবে দ্বিতীয় রুকুর প্রথমার্ধ পর্যন্ত।
প্রথম থেকে দ্বিতীয় রুকুর প্রথমার্ধ পর্যন্ত, ১ থেকে ২১ নম্বর আয়াতে কোরআনের প্রতি বিশ্বাসের তাৎপর্য আলোচনা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, যারা আল্লাহ এবং তার কালামকে বিশ্বাস করে কেবল তাদেরকেই সতর্ক করা যাবে। এ কথার প্রেক্ষিতে আল্লাহ তায়ালা একটি জনপদের বিশ্বাসী ও অবিশ্বাসী লোকদের দৃষ্টিান্ত টেনেছেন। যার শেষার্ধ আগামীকাল পঠিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩:৩৪:৩৩ ১৪৭ বার পঠিত