ফলাফল বিবেচনা করে প্রকল্প গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মাসিক এডিপি সভায় সভাপতির বক্তৃতায় কৃষিমন্ত্রী এই আহ্বান জানান। মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরে এটাই তার প্রথম সভা।
তিনি বলেন, ‘প্রকল্পের ক্ষেত্রে মাঠ পর্যায়ে কৃষকের মঙ্গল, টেকসই প্রভাব, প্রত্যাশা ও ফলাফল বিবেচনা করে তা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে। একটি কৃষি প্রকল্প, একটি চিন্তা, অনেক স্বপ্ন। কৃষি যান্ত্রিকরণকে অগ্রাধিকার ভিত্তিক খাত হিসেবে বিবেচনা করে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে নিষ্ঠা,আন্তরিকতা ও সততার সাথে বাস্তবায়ন করতে হবে।’ কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান সভার সঞ্চলনা করেন। সভায় মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকগণ এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ভবিষৎ প্রজন্মের কথা মাথায় রেখে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে। ডালের উৎপাদন ভালো হয়েছে, বিশেষ করে পটুয়াখালী জেলায়। মোট জাতীয় উৎপাদনে তেলের ক্ষেত্রে আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে আনার জন্য সারা দেশে বৃহৎ প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে। এছাড়া প্রকল্প গ্রহণের ফলে কি কি পরিবর্তন এসেছে এবং উৎপাদনের তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরতে হবে।’ এ সময় যে কারণে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে, তা কতটুকু পুরণ হয়েছে এবং আরও কি কি প্রদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত বক্তৃতায় কৃষিমন্ত্রী তা উল্লেখ করতে হবে।
এ সময় নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়নের তাগিদ দেন কৃষিমন্ত্রী। বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৪০০ কেজি কেসুনাট বীজ আমদানির জন্য ভিয়েতনাম ,থাইল্যান্ড ও ভারত এসব দেশ থেকে ভালো বীজ সংগ্রহের কথা বলেন মন্ত্রী। তিনি সরাসরি কৃষির সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়, এমন কোন প্রকল্প যেন গ্রহণ করা না হয় সে নির্দেশনাও দেন।
উল্লেখ্য, কৃষি মন্ত্রণালয়ের ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৭২টি প্রকল্পে ১ হাজার ৮২৬ দশমিক ৮৯ কোটি টাকা বরাদ্দের বিপরীতে ১ হাজার ৩৫৭ দশমিক ৫১ কোটি টাকা অবমুক্ত করা হয়েছে। বৃহৎ বরাদ্দ প্রাপ্ত ৩৩ টি প্রকল্পের অনুকুলে মোট ১ হাজার ৪৫০ দশমিক ২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয় । এপ্রিল ২০১৯ পর্যন্ত মোট ব্যয় হয়েছে ৯০৬ দশমিক ৫২ কোটি টাকা। এপ্রিল ২০১৯ পর্যন্ত প্রকল্পের মোট জাতীয় গড় অগ্রগতি ৫৫ শতাংশ।
বাংলাদেশ সময়: ২১:১১:৩১ ১৫২ বার পঠিত