শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ানের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত সিডসেল ব্লেকেন আজ সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রীর অফিস কক্ষে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
সাক্ষাৎকালে প্রতিমন্ত্রী রাষ্টদূতকে জানান, গার্মেন্টস শিল্পে কারখানা সংস্কার কার্যক্রম চালানোর জন্য সরকার যে আরসিসি (রেমেডিয়েশন কো-
অর্ডিনেশন সেল) বা সংস্কার সমন্বয় সেল গঠন করেছে তা পুরোদমে কাজ শুরু করেছে। একর্ড-এলায়েন্স যাবার পর আরসিসি’র প্রকৌশলীরা তাদের কাজটি ভালোভাবে চালিয়ে নিতে পারবে। ইতোমধ্যে একশ’ ২০ জন প্রকৌশলীকে নিয়োগ দিয়ে তাদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। সরকার গত বছর বাংলাদেশ শ্রম আইন সংশোধন করেছে আগে যেখানে ৩০ শতাংশ শ্রমিকের সমর্থনে ট্রেড ইউনিয়ন করতে পারলেও এখন ২০ শতাংশ শ্রমিকের সমর্থনে ট্রেড ইউনিয়ন করতে পারবে।
সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রদূত গ্রামীণফোনের ব্লু কালার ক্যাটেগোরিতে কর্মরতদের ট্রেড ইউনিয়ন করার বিষয়ে জানতে চান। এ বিষয়ে শ্রম প্রতিমন্ত্রী
বলেন, যারা কোন প্রতিষ্ঠানে চাকুরী দিতে পারেন এবং যারা কাউকে চাকুরী থেকে অব্যহতি দেবার ক্ষমতা রাখেন এক কথায় যার প্রশাসনিক ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত তারা ম্যানেজমেন্ট, তাদের ট্রেড করার সুযোগ নেই। তারা বাদে যারা প্রাতিষ্ঠানিক খাতে নিয়োজিত শ্রমিক তারা সবাই ট্রেড ইউনিয়ন করতে পারেন। এছাড়া আউটসোর্সিংয়ে কর্মরতদের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আজ পর্যন্ত তাদের কোনো ট্রেড ইউনিয়ন গঠিত হয়নি। তিনি বলেন, কারা শ্রমিক আর কারা শ্রমিক নয়, কারা ইউনিয়ন করতে পারবেন আর কারা পারবেন না তা বাংলাদেশ শ্রম আইনে স্পষ্ট বলা আছে। এ বিষয়ে কোনো অস্পষ্টতা নেই।
সাক্ষাতে কল-কারখানায় শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিতে দু’পক্ষই সামাজিক সংলাপের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। সামাজিক সংলাপের ওপর নরওয়ে সরকার আরো কাজ করতে আগ্রহী বলে রাষ্টদূত জানান। আলোচনায় বাংলাদেশের শিল্প উন্নয়ন বিশেষ করে গামের্ন্টস শিল্পের কর্মপরিবেশের উন্নয়নে নরওয়ে সরকারের সহযোগিতার বিষয়টি উঠে আসে। বন্ধুপ্রতিম দু’দেশের সম্পর্ক আরো জোরদার হবে বলে উভয় পক্ষ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সাক্ষাৎকালে মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব কে এম আলী আজম, অতিরিক্ত সচিব (আইও) সৈয়দ আহম্মদ এবং শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক একেএম
বাংলাদেশ সময়: ২২:৪১:৩৯ ১৪১ বার পঠিত