রাষ্ট্রপতি মোঃ আব্দুল হামিদ ২৯ মে ‘আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ
শান্তিরক্ষী দিবস’ উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন:
“বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায়
‘আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস-২০১৯’ পালনের উদ্যোগকে আমি
স্বাগত জানাই। এ উপলক্ষে আমি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে কর্মরত
বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশের সকল শান্তিরক্ষীকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও
অভিনন্দন। বিশ্বশান্তি রক্ষার মহান দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আত্মোৎসর্গকারী
বীর শান্তিরক্ষী সদস্যদের আমি পরম শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি।
‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়’- জাতির পিতা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর এ আদর্শ অনুসরণে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি
পরিচালিত হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ আজ বিশ্ব দরবারে শান্তি ও
সম্প্রীতির এক উজ্জ¦ল দৃষ্টান্ত হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। জাতিসংঘ
শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে ১৯৮৮ সাল থেকে অংশগ্রহণ করে অদ্যাবধি বাংলাদেশি
শান্তিরক্ষী সদস্যরা সর্বোচ্চ পেশাদারি মনোভাব, আনুগত্য ও সাহসিকতার
পরিচয় দিয়ে চলেছেন। তাদের অনন্য অবদানের জন্য আন্তর্জাতিক পরিম-লে দেশের
ভাবমূর্তি উজ্জল হয়েছে এবং আমাদের শান্তিরক্ষীরা শান্তিরক্ষা মিশনে একটি
মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছে।
বাংলাদেশ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অন্যতম শীর্ষ শান্তিরক্ষী
প্রেরণকারী দেশ। পেশাদারিত্বের পাশাপাশি অর্পিত দায়িত্বের প্রতি একনিষ্ঠতা
বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের এই সাফল্য অর্জনে ভূমিকা রেখেছে। সততা, নিষ্ঠা ও
পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে আমাদের শান্তিরক্ষী সদস্যরা
আগামী দিনগুলোতেও বিশ্বশান্তি, সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য প্রতিষ্ঠার এই ধারা
অব্যাহত রাখতে সক্ষম হবে - এ প্রত্যাশা করি।
আমি ‘আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস-২০১৯’ উপলক্ষে
গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
বাংলাদেশ সময়: ২২:৫৭:০২ ১১৯ বার পঠিত