পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে ছোট ভাই সোলায়মান হাওলাদারের শাবলের আঘাতে ঘুমন্ত অবস্থায় বড় ভাই ফোরকান হাওলাদার নিহত হয়েছেন। সোমবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার বালিপাড়া ইউনিয়নের ঢেবসাবুনিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত ফোরকান উপজেলার ঢেবসাবুনিয়া গ্রামের আঃ ছালাম হাওলাদারের ছেলে এবং ন্যাশনাল সার্ভিসের একজন কর্মী। তাকে হত্যার ঘটনায় ছোট ভাই সোলায়মান হাওলাদারকে মঙ্গলবার সকালে উপজেলার ঢেবসাবুনিয়া গ্রাম থেকে আটক করেছে ইন্দুরকানী থানা পুলিশ।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাত ১০টার দিকে ফোরকান হাওলাদার (৩০) তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছোট ভাই সোলায়মানকে (২৮) চড় মারে। পরে দুই ভাই তাদের নির্মাণাধীন একটি নতুন কাঠের ঘরের পাঠাতনে ঘুমাতে যায়। বড় ভাই ফোরকান ঘুমিয়ে পড়লে ছোট ভাই সোলায়মান একটি শাবল দিয়ে তার মাথায় পর পর তিনটি আঘাত করে। এতে ফোরকানের মাথা ফেটে গুরুতর আহত হন। এসময় তার চিৎকারে স্বজনরা এসে তাকে উদ্ধার করে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত ফোরকানের বড় ভাই শাহীন জানান, ‘আমার ছোট ভাই সোলায়মানের মানসিক সমস্যা আছে। তাকে ফোরকান ওষধ খেতে বললে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয় ও তাকে একটি চড় মারে। পরে রাতে সে শাবল নিয়ে ফোরকানকে ঘুমন্ত অবস্থায় মাথায় আঘাত করলে হাসপাতালে নেয়ার পথে সে মারা যায়।’
এ ঘটনায় পিরোজপুরের পুলিশ সুপার (ভারপ্রাপ্ত) মোল্লা আজাদ হোসেন মঙ্গলবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে ইন্দুরকানী থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।
ইন্দুরকানী থানার ওসি মো. হাবিবুর রহমান জানান, ছোট ভাই সোলায়মান হাওলাদারকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।’
বাংলাদেশ সময়: ১২:২৫:৪৬ ১৭৩ বার পঠিত