দিনাজপুরের হাকিমপুরে বিজিবির সাথে বন্দুকযুদ্ধে দেলোয়ার হোসেন (৪৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। সে উপজেলার নন্দীপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে। বৃহস্পতিবার রাতে চেংগ্রাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে মংলা বিওপি ক্যাম্পের বিজিবির সদস্যরা দেলোয়ার হোসেনকে উপজেলার নন্দীপুর সীমান্ত এলাকা থেকে ৯৫৮টি ইয়াবাসহ আটক করে।
জয়পুরহাট-২০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল রাশেদ মোহাম্মদ আনিসুল হক জানান, আটক দেলোয়ার মাদক কারবারের সাথে জড়িত। তাকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে জানায়, চেংগ্রাম এলাকায় চোরাকারবারীরা বিপুল পরিমাণ ইয়াবা পাচারের জন্য গাড়িতে লোড করছে। তার দেওয়া তথ্যে তাকে নিয়ে বিজিবি সদস্যরা রাত ২টার দিকে সেখানে গেলে আগে থেকেই ওঁৎ পেতে থাকা চোরাকারবারীরা বিজিবি সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়।আত্মরক্ষার্থে বিজিবিও পাল্টা গুলি করে।বন্দুকযুদ্ধে বিজিবির তিন সদস্য আহত হন। পরে ঘটনাস্থল থেকে দেলোয়ার হোসেনের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়। আহত বিজিবি সদস্যদের বিজিবি ব্যাটালিয়নে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, এসময় ঘটনাস্থল থেকে ৫০০ বোতল ফেন্সিডিল ও দেশিয় ৩টি চাপাতি উদ্ধার করা হয়।
এদিকে নিহত দেলোয়ারের স্ত্রী জেসমিন আখতার ও ভাতিজা ইমরান হোসেন জানান, দেলোয়ারের বিরুদ্ধে কোথাও কোনো মামলা নেই। তাকে বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে নন্দীপুর রাস্তা থেকে মংলা ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে যায়। এসময় তার কাছে কিছুই ছিল না। তাকে ক্যাম্পে নিয়ে শারীরিক ভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। পরবর্তীতে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। পরে সকালে লাশ দেখতে থানায় গেলে ওসি আনোয়ার হোসেন অশ্লীলভাষায় গালাগাল করে লাঠি দিয়ে মারতে উদ্যত হয় এবং থানা থেকে বের করে দেয়। দেলোয়ার হত্যার তদন্ত করে তারা বিচার চান।
হাকিমপুর থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, এঘটনায় থানায় মংলা ক্যাম্পের সুবেদার আবু সাঈদ বাদী হয়ে আজ দুটি মামলা করেছেন। লাশ ময়না তদন্তের জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে উপজেলার খট্টামাধবপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন চৌধুরী জানান, এই ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ছিলেন দেলোয়ার হোসেন। সে মাদকের সাথে কখনোই জড়িত ছিলেন না।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:০১:৪৪ ১১৯ বার পঠিত