আজ (রোববার) ০২ জুন ২০১৯
(জেনারেল মঞ্জুরের মৃত্যু)
সেক্টর কমান্ডার জেনারেল মঞ্জুরের মৃত্যুদিন আজ। ১৯৮১’র ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নিহত হওযার পর জেনারেল আবুল মঞ্জর নিজেকে সামরিক বাহিনী ও বেসামরিক প্রশাসনের প্রধান হিসেবে ঘোষণা দেন । তাকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিলে তিনি আত্মগোপনের চেষ্টা চালান। কিন্তু ধরা পড়ে যান ২ জুন তারিখে। গ্রেফতার করে তাকে চট্টগ্রাম সেনা ছাউনিতে নেয়া হলে অজ্ঞাতনামা অস্ত্রধারীর গুলিতে নিহত হন তিনি। আজও রহস্যাবৃত মঞ্জুরের মৃত্যু। দক্ষ সামরিক অফিসার এবং জ্ঞানচর্চায় উৎসাহী বলে মঞ্জুরের পরিচিতি ছিলো। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাকিস্তান থেকে পালিয়ে এসে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্যে সরকার তাকে বীরোত্তম খেতাবে ভূষিত করে। মঞ্জুরের জন্ম ১৯৪০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার কসবায়। পৈতৃক নিবাস নোয়াখালীর চাটখিলে। শিক্ষাজীবন শুরু কলকাতায় । ঢাকা, পাঞ্জাব, কানাডা বিভিন্ন স্থানে পড়ালেখা করেছেন। ১৯৫৭ তে কাকুল সামরিক একাডেমীতে যোগ দেন। পরের বছর পাকিস্তান সামরিক একাডেমী থেকে ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন । ৭১-এ ছিলেন পাকিস্তানের শিয়াল কোটে ব্রিগেড মেজর । যুদ্ধ শুরু হলে পালিয়ে এসে যুদ্ধে যোগ দেন। ৮ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার করা হয় তাকে । দেশ স্বাধীনের পর নয়াদিল্লীতে বাংলাদেশ হাই কমিশনে মিলিটারি এডভাইজার নিযুক্ত হন। ৭৫-এ হন সেনাবাহিনীর চিফ অফ জেনারেল স্টাফ। ৭৭ এর শেষদিকে চট্টগ্রামের ২৪তম ডিভিশনের জিওসি’র দায়িত্বে আসীন এবং ২৯ মে পর্যন্ত এ পদেই ছিলেন।
১৯৪২ সালের এই দিনে বিখ্যাত জার্মান সেনা কমান্ডার আরভিন রুমেল উত্তর আফ্রিকায় বৃটিশ সেনাদের ওপর বড় ধরনের পাল্টা সামরিক অভিযান শুরু করেন। রুমেলকে মরুভূমির শৃগাল বলা হতো। রুমেলের এই অভিযানের আগে বৃটিশ সেনারা লিবিয়ায় হামলা চালিয়ে দেশটিকে জার্মান সেনাদের দখল থেকে মুক্ত করে সেখানে বৃটিশ দখলদারিত্ব প্রতিষ্ঠা করে। কিন্তু রুমেলের প্রায় এক মাসের পাল্টা অভিযানে জার্মান সেনারা পুনরায় লিবিয়া দখল করে। জার্মান সেনারা মিশরের উত্তরে আল আলামিন এবং গুরুত্বপূর্ণ বন্দর আলেক্সান্দ্রিয়ার কাছাকাছি চলে আসে। জার্মান সেনাদের অগ্রাভিযান অব্যাহত থাকলে তারা মিত্র বাহিনীর কাছ থেকে কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ সুয়েজ খালও দখল করে নিতে পারতো। কিন্তু ১৯৪২ সালের নভেম্বর মাসে বৃটিশরা পুনরায় হামলা চালিয়ে জার্মান কমান্ডার রুমেলের বাহিনীকে পরাজিত করলে সুয়েজ খাল দখলের জার্মান পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়ে যায়।
১৯৬৩ সালের এই দিনে তুরস্কের খ্যাতনামা কবি নাজেম হেকমাত ইন্তেকাল করেন। তার জন্ম হয়েছিল ১৯০২ সালে। ১২ বছর বয়সেই নাজেম হেকমাত কবিতা রচনা শুরু করেন। মাধ্যমিক শিক্ষা শেষ করার পর তিনি তুর্কী সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। কিন্তু বিশেষ রাজনৈতিক মতবাদে বিশ্বাসী হওয়ায় তাকে সেনাবাহিনী থেকে বহিষ্কার করা হয়। এরপর তিনি পড়াশোনার জন্য মস্কো যান। রাজনৈতিক অর্থনীতি বিষয়ে পড়াশোনার পর নাজেম হেকমাত তুরস্কে ফিরে আসেন।
এরপর তিনি বিপ্লবী ও ফ্যাসিবাদ বিরোধী কবিতা লেখা শুরু করেন এবং তুরস্কের প্রথম প্রেসিডেন্ট আতাতুর্কের স্বৈরাচারী ও পাশ্চাত্যপন্থী নীতির প্রতিবাদে সোচ্চার হন। তুর্কী জনগণ ও সেনাবাহিনীর মধ্যে নাজেম হেকমাতের কবিতার কদর দেখে আংকারা সরকার ভীত হয়ে পড়ে এবং নাজেমকে কারাবন্দী করে। ১২ বছর কারাবন্দী থাকার পর নাজেম মুক্তি পান। হেকমাত তুর্কী সরকারের নির্বাসন দন্ড ও গুপ্ত ঘাতকের হাত থেকে প্রাণ রক্ষার জন্য মৃত্যুর আগ পর্যন্ত নিজ শহরেই বসবাস করেন। তুর্কী কবিতায় নতুন ধারা সৃষ্টি এবং সহজ ও প্রাঞ্জল রীতির জন্য নাজেম হেকমাত বিশ্বজুড়ে খ্যতি অর্জন করেছেন।
আজ থেকে ৪০ বছর আগে এই দিনে বিশিষ্ট আলেম আয়াতুল্লাহ সাইয়েদ মোহসেন হাকিম ৮৪ বছর বয়সে ইরাকে ইন্তেকাল করেন। তিনি শৈশবেই পবিত্র কোরআনের হাফেজ হন। অল্প দিনের মধ্যেই আয়াতুল্লাহ সাইয়েদ মোহসেন হাকিম জ্ঞানের উচ্চ পর্যায়ে উন্নীত হন। ইজতেহাদ বা ইসলামী আইন প্রণয়নের যোগ্যতা অর্জনের পর তিনি শিক্ষকতা শুরু করেন। এর পাশাপাশি তিনি জনগণকে সামাজিক ও রাজনৈতিক বিষয়ে দিক নির্দেশনাও দিতেন। আয়াতুল্লাহ সাইয়েদ মোহসেন হাকিম ইহুদিবাদী ইসরাইলের সাথে আরবদের ছয়দিনের যুদ্ধের সময় মুসলিম বিশ্বের নেতৃবৃন্দকে ঐক্যবদ্ধ হবার, বিশেষ কোরে দখলদার ইসরাইলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ঐক্যবদ্ধ হবার এবং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থ রক্ষার জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তিনি ইরাকসহ মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে অনেক মসজিদ ও মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা কোরেছেন। তাঁর লেখা অনেক বইয়ের মধ্যে মুসতামাসসেক উরওয়াতুল উসকা, হাক্বায়েকুল উসুল এবং নাহজুল ফোক্বাহা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
৪৫০ হিজরীতে পবিত্র কোরআন ও হাদীসের খ্যাতনামা বিশেষজ্ঞ আবুল আব্বাস আহমাদ বিন আলী ইরাকের সামেরা শহরে ইন্তেকাল করেন। নাজ্জাশী নামে পরিচিত এই আলেমের রিজাল নামক গ্রন্থটি ইসলামের ইতিহাসে তার নামকে অমর কোরে রেখেছে।
আজ থেকে ৮৪৭ বছর আগে প্রখ্যাত মুহাদ্দিস ও হাফেজে কোরআন মুহাম্মাদ বিন হাজেমী হামেদানী বাগদাদে ইন্তেকাল করেন। তাঁর লেখা অনেক বইয়ের মধ্যে আল ইতিবার ফি বায়ানুন নাসেখ ও আল মানসুখ এবং সিলসিলাতুল জাহাব ইতিহাসে অমর হয়ে আছে।
২৫২ বছর আগে এই দিনে জন্মগ্রহণ কোরেছেন বিখ্যাত মুহাদ্দিস ও মুফাসসির আবদুল করিম বিন আহমাদ হালাবী। সিরিয়ার হালাবে তাঁর জন্ম হয়েছিল। আদ্দিয়ে আস সাফার বা সফরের দোয়া তাঁর লেখা অন্যতম বিখ্যাত বই।
গ্রিক সেনাবাহিনীর কর্ফু দখল (১৮৬৪)
লুই পাস্তুর কর্তৃক প্রথম জলাতঙ্ক রোগের ইনজেকশন প্রদান ও প্রদর্শন (১৮৮১)
চীনের কাছ থেকে জাপান তাইওয়ানের শাসনভার বুঝে নেয় (১৮৯৫)
আমেরিকায় জনুগ্রহণকারী ভারতীয়দের আমেরিকার নাগরিকত্ব লাভ (১৯২৪)
ইংল্যান্ডে কাপড়ের রেশন চালু (১৯৪১)
ইতালি প্রজাতন্ত্র গঠিত (১৯৪৬)
ব্রিটেনের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের অভিষেক (১৯৫৩)
ঢাকার শেরে বাংলানগরে রাষ্ট্রপতি জিয়ার জানাজা ও দাফন (১৯৮১)
ভারতের খ্যাতনাম চিত্রভিনেতা রাজকাপুরের মৃত্যু (১৯৮৮)
বাংলাদেশ সময়: ০:৫৬:২০ ১৬১ বার পঠিত