প্রাণী বিলুপ্তির জন্য কি মানুষই বেশি দায়ী!

প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক » প্রাণী বিলুপ্তির জন্য কি মানুষই বেশি দায়ী!
রবিবার, ২ জুন ২০১৯



---

গত কয়েক দশকে পৃথিবীর দশ লাখের বেশি প্রজাতির প্রাণী বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে। জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বারবার সতর্ক করা হয়েছে যে বিপুল পরিমাণ প্রাণী বিলুপ্তির পেছনে প্রধানত মানব সভ্যতা দায়ী। বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী বিলুপ্তির পেছনে বিজ্ঞানীরা মানুষের ভূমিকাকে দায়ী করলেও প্রাকৃতিক কারণেও কমছে প্রাণী। জীববৈচিত্র্যের এই করুণ পরিণতির জন্য স্থানীয় নানা কারণও দায়ী। এটি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। উদ্বেগের বিষয়, জীববৈচিত্র্যের বিলুপ্তির হারকে বাড়িয়ে তুলেছে মানুষের কার্যকলাপ। আগে যেখানে প্রতি দশকে যে পরিমাণ প্রজাতি বিলুপ্তি হতো এখন মানুষের নেতিবাচক ভূমিকার কারণে সেই সংখ্যা অনেক বেশি হচ্ছে।

কিছুদিন আগে জাতিসংঘের ‘ইন্টারগভর্নমেন্টাল সায়েন্স-পলিসি প্ল্যাটফর্ম অন বায়োডাইভার্সিটি অ্যান্ড ইকোসিস্টেম সার্ভিসেস’ (আইপিবিইএস) পরিচালিত একটি গবেষণায় ৫০টি দেশের ১৪৫ জন বিশেষজ্ঞ ছিলেন। ঐ প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং বেপরোয়াভাবে প্রাকৃতিক সম্পদ ধ্বংসের ফলে বিপন্ন হচ্ছে লাখ লাখ প্রজাতির প্রাণী। মানুষের নানাবিধ কার্যকলাপের কারণে বাড়ছে পৃথিবীর উষ্ণায়ন। প্রতিবছরই বিলুপ্তির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে অনেক প্রজাতির প্রাণী।

প্রাণীদের বাসস্থান কমছে, অপব্যবহার হচ্ছে প্রাকৃতিক সম্পদের, সেইসঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তন এবং দূষণও বাড়ছে। আর এইসব কিছুর পিছনে শুধুই মানুষের ভূমিকা। রয়েল বোটানিক গার্ডেনসের পরিচালক অধ্যাপক আলেকজেন্ডার অ্যান্থোনেলি বলেন, এই গ্রহের উদ্ভিদ এবং প্রাণী মিলে বহু প্রজাতি এখন খুব দ্রুত বিলুপ্তির পথে। এক লাখেরও বেশি প্রজাতি বিলুপ্তির পথে। এর তিন চতুর্থাংশই মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে। পৃথিবীর বৃহত্তম স্তন্যপায়ীদের মধ্যে গ্লার অন্যতম। এদের সর্বশেষ উপযুক্ত আবাসস্থল আফ্রিকা। অথচ আফ্রিকার অনেক দেশেই আজ বিলুপ্তির পথে গ্লার। চোরা শিকারীদের কারণে অনেক দেশ থেকেই আশঙ্কাজনক হারে কমছে গ্লার। অন্য এক গবেষণায় বলা হয়েছে, ২১০০ সালের মধ্যে আফ্রিকার প্রায় অর্ধেক প্রজাতির পাখি-ই বিলুপ্ত হয়ে যাবে। গত এক দশকে ইউরোপ এবং মধ্য এশিয়ার স্থলভাগের ৪২ ভাগ প্রাণী এবং উদ্ভিদ কমে গেছে। আমাজন নদীতে ৩ হাজার প্রজাতির মাছ ও জলজ প্রাণী রয়েছে। কিন্তু উষ্ণায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আমাজনসহ বিশ্বের বিভিন্ন নদ-নদী থেকে হারিয়ে যাচ্ছে মাছসহ অনেক জলজ প্রাণী।

এ প্রসঙ্গে আইপিবিইএস-এর অন্যতম বিশেষজ্ঞ রবার্ট ওয়াটসন বলেন, বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে দ্রুত গতিতে। আমরা বাস্তুতন্ত্রের ওপরে নির্ভরশীল। আজ আমরা তাদের ক্ষতি করে চলেছি। তবে একসময় এর ক্ষতিপূরণ আমাদেরই গুণতে হবে। -ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক

বাংলাদেশ সময়: ১:২৮:৪৪   ১৬০ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আন্তর্জাতিক’র আরও খবর


কানাডায় এলোপাথাড়ি গোলাগুলি, চার বাংলাদেশি আহত
মিয়ানমারের সামরিক অভ্যুত্থান ব্যর্থ করতে চায় জাতিসংঘ - গুতেরেস
ব্রাজিলে করোনায় ২ লাখ ২৭ হাজার ৫৬৩ জনের মৃত্যু
করোনায় বিশ্বে মৃত্যুর সংখ্যা ২২ লাখ ৭৬ হাজার ছাড়াল
ঘরের মাঠে টানা দ্বিতীয় হার লিভারপুলের
ফেসবুক বন্ধ করল মিয়ানমারে সামরিক জান্তা
করোনার বিরুদ্ধে ৯২ শতাংশ কার্যকর স্পুটনিক ভি
করোনার ছোবলে থামছে না প্রাণহানি, মৃত্যুর সংখ্যা ২২ লাখ ৪৭ হাজার
মিয়ানমার ইস্যুতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক আজ
তুর্কি নিয়ন্ত্রিত উত্তর সিরিয়ায় গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে ১২ জন নিহত

আর্কাইভ