কলকাতার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ একজন পুরানো পুজো উদ্যোক্তা৷ তিনি উত্তর কলকাতার নলিন সরকার স্ট্রিট, সিকদার বাগান সর্বজনীন এবং হাতিবাগানের পুজোর সঙ্গে যুক্ত৷ উত্তর কলকাতার আরও বেশ কয়েকটি পুজোর উৎসাহদাতা তিনি৷ অতীনবাবু বক্তব্য, ‘‘খুবই কঠিন সিদ্ধান্ত৷ উত্তর কলকাতা এবং মধ্য কলকাতার বেশিরভাগ পুজো গলির মধ্যে হয়৷ জায়গা থাকে না৷ পুজো উদ্যোক্তাদের কাজ কঠিন হয়ে গেল৷’’
কলকাতার ডেপুটি মেয়রের কথায়, ‘‘জায়গা এত ছোট থাকে যে স্টল বা বাড়তি বিজ্ঞাপন দেওয়ার জায়গা থাকে না৷ উত্তর কলকাতায় সব জায়গায় পার্ক সেই৷ সেই সুবিধা পাওয়া যায় না৷ শ্যামবাজার. বউবাজার, বাগবাজার, ওয়েলিংটনে এমন এনেক পুজো আছে যেগুলি গলির ভিতরেই হয়৷’’ সব শুনে শহরের এক পুজো উদ্যোক্তার বক্তব্য, মন্ত্রী এবং ডেপুটি মেয়র ঠিক কথাই বলেছেন৷ মনের কথা বুঝেছেন৷
দুর্গাপুজো নিয়ে যে সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকার নিয়েছে, তা অনেক দিনের অভিযোগের ফল। নবান্ন সূত্রে খবর, এই বছর রাস্তা আটকে কোনও দুর্গাপুজো করা যাবে না, তা একপ্রকার পরিষ্কার। পুলিশ, দমকল এবং বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার তরফ থেকে কিছু নির্দেশিকা প্রতিবছরই পুজো কমিটিগুলির জন্য থাকে৷ এবছর যুক্ত হল নবান্নের নির্দেশিকা৷ কলকাতার পুজো উদ্যোক্তারা ইতিমধ্যেই নড়েচড়ে বসতে শুরু করেছেন৷
বাংলাদেশ সময়: ২২:০৪:৫৬ ১২৩ বার পঠিত