জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিরূপ প্রভাব মোকাবেলা ও সহিষ্ণুতা বাড়াতে ৩ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলারের প্রকল্প

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিরূপ প্রভাব মোকাবেলা ও সহিষ্ণুতা বাড়াতে ৩ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলারের প্রকল্প
রবিবার, ৭ জুলাই ২০১৯



---

খুলনা ও সাতক্ষীরা অঞ্চলের নারী ও কিশোরীদের জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিরূপ প্রভাব মোকাবেলা ও সহিষ্ণুতা বাড়াতে ৩ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার (৩৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) ব্যায়ে ৬ বছরের একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
বিশ্বের বৃহত্তম জলবায়ু তহবিল ‘গ্রিণ ক্লাইমেন্ট ফান্ডের (জিসিএফ)’ আর্থিক সহায়তায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) যৌথভাবে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে।
এ উপলক্ষে আজ রোববার রাজধানীতে ‘উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর, বিশেষত নারীদের জলবায়ু পরিবর্তনজনিত লবনাক্ততা মোকাবেলায় অভিযোজন সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পটির অবহিতকরণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
এ কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুন নাহার। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জী।
কর্মশালায় জানানো হয়, এই প্রথম মতো মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় জলবায়ু পরিবর্তন জনিত প্রভাব মোকাবেলায় বিনিয়োগ করছে। অর্থাৎ এ প্রকল্পের মোট ব্যায়ের প্রায় এক চতুর্থাংশ (৮০ লাখ মার্কিন ডলার) ব্যায় করবে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়। বাকি আড়াই কোটি মার্কিন ডলার পদান করবে ‘গ্রিণ ক্লাইমেন্ট ফান্ড’।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শেখ রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) বদরুন নেছা, পরিবেশ,বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড.এসএম মুঞ্জুরুল হান্নান খান ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সাইফুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
কামরুন নাহার বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে নারীদের ক্ষতি বেশি হয়। এজন্য তাদের সক্ষমতা বাড়াতে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।
তিনি বলেন, এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্যদিয়ে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় নারীদের সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে তাদের ‘চেঞ্জ এজেন্ট’ হিসেবে গড়ে তোলা হবে, যা হবে দৃষ্টান্তমূলক।
কামরুন নাহার বলেন,জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রতিক্রিয়া থেকে জীবন ও জীবিকা রক্ষার জন্য নারীরা এই প্রকল্পের আওতায় পরিকল্পনা গ্রহণ, বাস্তবায়ন ও পরিচালনা করবে এবং বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে নিয়ে যেতেও ভূমিকা রাখবে।
সুদীপ্ত মুখার্জী টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যের (এসডিজি) উপর গুরুত্ব দিয়ে বলেন, ‘কাউকে পিছনে না ফেলে, ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আর এই লক্ষ্যে আমরা সরকার ও অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগি সংস্থা যেমন জিসিএফ’র সাথে কাজ করে যাচ্ছি।’
তিনি বলেন,নারীরা জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রতিক্রিয়ার কারণে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে বরেই তাদের বাদ দিয়ে কোনো ভাবেই টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা যাবে না।
সুদীপ্ত বলেন, ‘এ কারণেই এ প্রকল্পে আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা, নারী ও কিশোরীদের সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি, যেন তারা সঠিকভাবে এই পরিবর্তন মোকাবেলা করতে পারে।’
কর্মশালায় জানানো হয়,এই প্রকল্পের আওতায়, খুলনা ও সাতক্ষীরা অঞ্চলের প্রায় ৭ লাখ মানুষ বিশেষত: নারী ও কিশোরীদের জলবায়ু সহিষ্ণু জীবিকা অর্জনের জন্য সহায়তা দেয়া হবে। পাশাপাশি নিরাপদ ও বিশুদ্ধ খাবার পানির জন্য কমিউনিটি ভিত্তিক বৃষ্টির পানি সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করা হবে।
নারীদের অর্থনৈতিক কাজে সম্পৃক্ত করাও এই প্রকল্পের আরেকটি লক্ষ্য বলে কর্মশালায় উল্লেখ করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২১:০৩:৪৬   ১৪৫ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

ছবি গ্যালারী’র আরও খবর


সিলেটের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ
আজকের রাশিফল
আল কোরআন ও আল হাদিস
গুজব উপেক্ষা করে জনগণ ভ্যাকসিন নিচ্ছে
অর্পিত সম্পত্তি বিষয়ক চিহ্নিত সমস্যাগুলো যথাযথ সংশোধন করা হবে - ভূমি সচিব
৬টি সেক্টরকে শিশুশ্রমমুক্ত ঘোষণা করলো সরকার
ফসল উৎপাদন বাড়াতে অঞ্চল ভিত্তিক ‘জোন ম্যাপ’ প্রণয়নের ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর
দেশের সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভাগুলোতে জনস্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র - এলজিআরডি মন্ত্রী
হঠাৎ অজানা কারণেই বেড়ে গেলো পেঁয়াজের দাম
স্পীকারের সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত অ্যালেজান্ড্রা বের্গ ভন লিনডে-র সৌজন্য সাক্ষাৎ

আর্কাইভ