দেশের তিন চারুশিল্পীর স্মরণ অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেছেন , বাংলদেশের চারু ও কারুশিল্পকে পটুয়া কামরুল হাসান, শিল্পী এস এম সুলতান ও শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে গেছেন।
তারা বলেন, এই তিন শিল্পী প্রত্যেকেই দীর্ঘকাল তাদের মেধাসম্পন্ন কর্মের মাধ্যমে বাংলাদেশের চারুশিল্পকে সমৃদ্ধ করেছেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তাদের শিল্পকর্ম সংগ্রহ রয়েছে। এতে আমাদের শিল্প সম্পর্কে বিশ্ববাসী বহুকাল ধরে অভিহিত হচ্ছেন। তারা প্রত্যেকেই আমাদের চারু ও কারুশিল্পের পথিকৃৎ।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে গতকাল সন্ধ্যায় ‘স্মৃতিসত্তা ভবিষৎ’ শীর্ষক ধারাবাহিক অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে এই তিনশিল্পীর স্মরণ অনুষ্ঠানে বক্তারা এই অভিমত রাখেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক ও নাট্যজন লিয়াকত আলী লাকী। অনুষ্ঠানে শিল্পী পটুয়া কামরুল হাসানের ওপর প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন লেখক ও গবেষক মফিদুল হক। আলোচনায় অংশ নেন শিল্পী হাসেম খান। এস এম সুলতানের ওপর প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শিল্পী মোস্তফা জামান। আলোচনায় অংশ নেন শিল্প সমালোচক মঈনুদ্দিন খালেদ। শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরীর জীবন ও কর্মের ওপর প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শিল্পী শাওন আকন্দ। আলোচনায় অংশ নেন কাইয়ুম চৌধুরীর সহধর্মিনী তাহেরা খানম চৌধুরী ও অধ্যাপক শিল্পী নেসার হোসেন।
শিল্পী হাসেম খান বলেন, এই তিন শিল্পী আমাদের শিল্পের অনন্য কারিগর এবং শিল্পসত্তার প্রতীক। তারা জীবন ভর শিল্পকর্মে কাজ করে বিশ্বের শিল্পজগতকে সমৃদ্ধ করেছেন এবং বাঙালি জাতির জন্য বিপুল সম্মান বয়ে এনেছেন। তাদের কাজ কোন দিন মুছে যাবে না।
মফিদুল হক বলেন, সেই পাকিস্তান আমল থেকেই তারা এ জাতির বিপুল সম্মান বয়ে এনেছেন। বাংলাদেশের শিল্পসম্ভারে নিজেদের মেধা ও উচ্চকিত শিল্পসত্তা দিয়ে যে বিপুল শিল্পকর্ম নির্মাণ করেছেন ,তা দিয়ে আজও আমরা নিজেদেরকে সমৃদ্ধ করছি এবং অনাদিকাল তাঁরা একই ভূমিকায় অবতীর্ণ হবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩:৪৫:৪৪ ১১০ বার পঠিত