যৌতুকের জন্য রাজধানীর মোহাম্মদপুরে হাত-পায়ের রগ কেটে ও মুখে স্কচটেপ পেঁচিয়ে শারমিন (১৭) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার ঘটনায় তার স্বামী আমির হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার বিকালে চট্টগ্রাম ইপিজেড এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আমির হত্যার কথা স্বীকার করেছেন বলে জানায় পুলিশ।
মঙ্গলবার বেলা ১১টায় রাজধানীর ধানমণ্ডিতে পিবিআই সদর দফতরে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পিবিআইয়ের উপমহাপরিদর্শক (এসআই) বনজ কুমার মজুমদার।
তিনি বলেন, ১ জুলাই রাজধানীর মোহাম্মদপুরে কৃষি মার্কেটের পাশে সাদেক খান রোডে একটি বাসায় খুন হন শারমিন আক্তার।
তার মুখে স্কচটেপ লাগানো ছিল। পায়ের রগ কাটা ছিল এবং শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল। স্বামী আমির হোসেনের সঙ্গে ওই বাসায় ভাড়া থাকতেন তিনি। ঘটনার পর আমির পালিয়ে যান।
শারমিনকে প্রথমে উদ্ধার করে শ্যামলীতে পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে যান ওই বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওই দিনই আমির হোসেনকে আসামি করে মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন শারমিনের বাবা। পরে মামলার তদন্ত ভার পায় পিবিআই।
ঘটনার পর আমির চট্টগ্রাম ইপিজেডে একটি বাসায় আত্মগোপন করেছিলেন। গোপনসূত্রে খবর পেয়ে সোমবার বিকালে ওই বাসায় অভিযান চালিয়ে আমিরকে গ্রেফতার করে পিবিআই। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন তিনি।
পেশায় সিএনজিচালক আমির হোসেন চার মাস আগে প্রেম করে গোপনে বিয়ে করেন শারমিনকে।
নিহতের ভাই রুবেল যুগান্তরকে বলেন, আমার বোনকে চার মাস আগে বিয়ে করে আমির। সে আমার বোনের কাছে ৫০ হাজার টাকা যৌতুক চাইত।
কিন্তু আমরা গরিব মানুষ, এত টাকা কোত্থেকে দেব। ও আমার বোনকে এভাবে কষ্ট দিয়ে মেরে ফেলল। ওর ফাঁসি চাই।
নিহতের বাবা মো. ফারুক যুগান্তরকে বলেন, আমার বাসা মোহাম্মদপুরের চানমিয়া হাউজিংয়ের ৪ নম্বর রোডে।
আমির আমার বাসার প্রায়ই এসে বলত, আমি অ্যাক্সিডেন্ট করছি। পুলিশ আমার গাড়ির কাগজপত্র নিয়ে গেছে। আমার ৫০ হাজার টাকা দরকার।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:৩১:৪৮ ১৫০ বার পঠিত