আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিগত প্রায় সাড়ে ১০ বছরে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা অনেক সচল হয়েছে। ফলে ২০০৯ থেকে জুন ২০১৯ পর্যন্ত চার লাখ ৩০ হাজার ৭৭৩ জনকে সরকারি আইনি সহায়তা দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
তিনি বলেন, যারা দরিদ্র ও অসহায় তাদের সকলের কাছে সরকারি আইনি সেবা পৌঁছে দিতে হবে, তাহলেই জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্য সফল হবে।
আজ মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার জাতীয় পরিচালনা বোর্ডের ৩৬ তম সভায় সভাপতির বক্তব্যে একথা বলেন।
জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার পরিচালনা বোর্ড সভায়, জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান নীতিমালা সংশোধন করে সরকারি আইনি সহায়তা পাওয়ার আওতা বাড়ানোর সিদ্ধান্তে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর ফলে সরকার নির্ধারিত আয়কর সীমার নীচে বার্ষিক আয়ের সকলেই সুপ্রিম কোর্ট ও দেশের সকল অধস্তন কোর্টে বিনা খরচে সরকারি আইনি সেবা গ্রহণের সুবিধা নিতে পারবেন। আগে যাদের বার্ষিক আয় যথাক্রমে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং ১ লাখ টাকা ছিল তারাই কেবল এই সুবিধা লাভের অধিকারী ছিলেন। নীতিমালা সংশোধনের পর থেকে এটি কার্যকর হবে।
সভায় অধস্তন আদালতে জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির তালিকাভুক্ত আইনজীবীদের কর্মস্পৃহা ও সেবার মান বৃদ্ধিসহ সরকারি আইনি সহায়তা কার্যক্রম বেগবান করার লক্ষে আইনজীবীদের মামলা পরিচালনা সংক্রান্ত ফি বিদ্যমান ফি এর চেয়ে ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এ ছাড়া পূর্ণকালীন জেলা লিগ্যাল এইড অফিসারগণের দেওয়ানী অবকাশকালীন সময়ে অর্থাৎ ডিসেম্বর মাসে দায়িত্ব পালনের জন্য তাদেরকে এক মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ ভাতা প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় সংস্থার জাতীয় পরিচালনা বোর্ড সদস্য মো. আব্দুস শহীদ এমপি ও মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী এমপি, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. জাকির হোসেন, জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার পরিচালক মো. আমিনুল ইসলামসহ বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২:০৩:৪২ ১২৩ বার পঠিত