রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ আজ দাতা দেশগুলোকে শুধুমাত্র প্রতিশ্রুত সহায়তার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সবচয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর অন্যতম বাংলাদেশকে এর ক্লাইমেট চেঞ্জ রিসাইলেন্স ফান্ড (বিসিসিআরএফ)-এ আরো বেশি সহায়তা দানের আহ্বান জানিয়েছেন।
মার্শাল আইল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট হিলদা সি. হেইন আজ দুপুরে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাকালে তিনি এই আহ্বান জানান।
গ্লোবাল কমিউনিকেশন অন অ্যাডাপশন (জিসিএ) শীর্ষক সম্মেলনে যোগদানের লক্ষে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ দেশটির প্রেসিডেন্ট দু’দিনের সফরে আজ ভোরে বাংলাদেশে এসেছেন।
রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ দাতা দেশগুলোকে বিসিসিআরএফ তহবিলে প্রতিশ্রুত সহায়তার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান। রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন বাসসকে একথা জানান।
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সফরে আসা ড. হিলদাকে রাষ্ট্রপতি স্বাগত জানান। ‘কমিশন অব দি গ্লোবাল কমিউনিকেশন অন অ্যাডাপশন’-এর কমিশনার হিসেবে হিলদার অবদানের প্রশংসা করেন রাষ্ট্রপতি। তিনি গ্লোবাল কমিউনিকেশন অন অ্যাডাপশন’-এর ৯ ও ১০ জুলাই দু’দিনব্যপী সম্মেলন অনুষ্ঠানের জন্য ঢাকাকে বেছে নেয়ায় তাকে ধন্যবাদ জানান।
প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল গ্লোবাল কমিশন অন অ্যাডাপ্টেশন (জিসিএ) সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন। জিসিএ-এর বর্তমান চেয়ার জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন ‘ওয়ে ফরোয়ার্ড অ্যান্ড নেক্সট স্টেপ টুয়ার্ডস ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যাডাপশন’-শীর্ষক অধিবেশনে সেখানে বক্তৃতা করবেন।
জলবায় পরিবর্তনের প্রভাবের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন ‘বায়ু দুষণের জন্য বাংলাদেশের দায়ভার যৎ সামান্য হলেও এটি জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে ও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর অন্যতম।’
বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত সমস্যার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা করতে বাংলাদেশ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সকল ক্ষেত্রে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ তাদের দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে ও তাদের নিজস্ব অর্থায়নে ‘ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্ট ফান্ড’ গঠনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
আব্দুল হামিদ কার্বন হ্রাস করে নবায়নযোগ্য জ্বালানী উন্নয়নের ক্ষেত্রকে অগ্রাধিকার দিয়ে এর সক্ষমতা কাজে লাগানোর পন্থা অনুসরণ করার আহবান জানান। তিনি বলেন, দেশব্যাপী সোলার হোম সিসটেম ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি বৈঠকে মার্শাল আইল্যান্ডের প্রেসিডেন্টের কাছে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
জলবায়ু পরিবর্তনের বিভিন্ন সমস্যা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করে বলেন, জিসিএ সম্মেলন উন্নয়নশীল দেশগুলোর সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে অবদান রাখবে।
ড. হিলদা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন বিশেষ করে নারী ক্ষমতায়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
মার্শাল আইল্যান্ডের প্রেসিডেন্টের বিশেষ সহকারি কার্লসান, তার কেবিনেটের সহকারি ক্লার্ক ডেনিস রেইদার, বঙ্গভবন সংশ্লিষ্ট সচিব এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েরর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২:১৫:১৩ ১২১ বার পঠিত