মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুন নাহারের সাথে আজ সচিবালয়ে তাঁর অফিস কক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাতে সচিব কামরুন নাহার বলেন, থাইল্যান্ড বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধুরাষ্ট্র ও দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন বিষয়ে একে অপরের সাথে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সামনের দিনগুলোতে উভয়ের কাজের ক্ষেত্র আরো বিস্তৃত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, নারী উন্নয়ন ও নারীর ক্ষমতায়নে থাইল্যান্ডের অর্জন প্রসংশনীয়। থাইল্যান্ডের নারীদের মতো বাংলাদেশের নারী উদ্যোক্তারাও খাদ্য প্রক্রিয়াজাত, বিউটিফিকেশন, সুইং ও ফ্যাশন ডিজাইনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফল। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নারীদের আত্মনির্ভরশীল করে তুলছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি আরো বলেন, জয়িতা ফাউন্ডেশন নারী উদ্যোক্তাদেরকে ব্যবসা পরিচালনায় ও পণ্য উৎপাদনে প্রয়োজনীয় দক্ষতা বৃদ্ধিতে কাজ করছে। এছাড়া মূলধন সরবরাহ ও জয়িতার ব্র্যান্ড ভ্যালু সৃষ্টির মাধ্যমে পণ্যের বিপণন ও প্রচারে জয়িতা ফাউন্ডেশন প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করে যাচ্ছে।
থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের সাথে থাইল্যান্ডের সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর। তিনি বাংলাদেশের নারী উদ্যোক্তাদেরকে ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, থাইল্যান্ড বাংলাদেশের নারীদের উন্নয়নে কাজ করতে আগ্রহী। তিনি মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় পরিচালিত নারীদের জন্য বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণের বিষয়ে জানতে চান। এছাড়া তিনি বাংলাদেশের নারী উদ্যোক্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি, প্রশিক্ষণ ও উৎপাদিত পণ্যের ভ্যালু অ্যাডিশনের বিষয়ে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
রাষ্ট্রদূত মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় পরিচালিত নারীদের প্রশিক্ষণে উপস্থিত থেকে ধারণা নিয়ে এ বিষয়ে থাইল্যান্ডের বিশেষজ্ঞদের সাথে কথা বলে খাদ্য প্রক্রিয়াজাত, বিউটিফিকেশন, সুইং ও ফ্যাশন ডিজাইন নিয়ে বাংলাদেশের নারী উদ্যোক্তাদের ভবিষ্যতে কাজ করার আগ্রহ ব্যক্ত করেন। এছাড়া তিনি জয়িতা ফাউন্ডেশন ও জয়িতা ফাউন্ডেশনের সাথে সংশ্লিষ্ট নারী উদ্যোক্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে কাজ করার জন্য বিশেষ আগ্রহ প্রকাশ করেন।
এ সময় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শেখ রফিকুল ইসলাম ও জ্যোতি লাল কুরী এবং যুগ্মসচিব মোঃ আবু তালেব উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২:৫১:৩৫ ১০৭ বার পঠিত