তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বেগম খালেদা জিয়াকে দেশের রাজনীতির জন্য হুমকি আখ্যায়িত করে বলেছেন, তার দল বিএনপি আন্দোলনের নামে দলটির চরিত্র প্রকাশ করেছে। জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিকতার উপর একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ড. হাছান বলেন, ‘জনগণের কল্যাণের জন্যই রাজনীতি। কিন্তু বিএনপি রাজনীতি ও আন্দোলনের নামে সাধারণ মানুষকে জিম্মি ও আগুন সন্ত্রাসের মাধ্যমে নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছে। এর মাধ্যমে তাদের রাজনৈতিক চরিত্র জনগণের সামনে প্রকাশ হয়ে গেছে।’
‘সাংবাদিকতা রাতে বিরাতে’ নামের বইটির লেখক বেসরকারি সংবাদ সংস্থা ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশ (ইউএনবি)’র সম্পাদক মাহফুজুর রহমান।
আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান আরো বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সব সময় গঠনমূলক সমালোচনা ও একটি যুক্তিভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় বিশ্বাস করে। সরকার সব সময়ে তার সমালোচনাকে স্বাগত জানিয়েছে, কারণ এটি সরকারকে সঠিক পথে পরিচালিত হওয়ার দিক নির্দেশনা দেয়। মন্ত্রী বলেন, গঠনমূলক সমালোচনা গণতন্ত্রকে মজবুত করার পাশাপাশি দেশকে এগিয়ে নিয়ে যায়। কিন্তু ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা প্রমাণ করেছে যে গণতন্ত্রের উপর বেগম জিয়ার কোন আস্থা নেই। তার দলও এই নির্মম ঘটনাটিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করা চেষ্টা করে।’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের একটি মন্তব্যের সমালোচনা করে ড. হাছান বলেন, বাংলাদেশের প্রায় দেড় কোটি মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটেছে। গত দশ বছরে এরা নিম্ভবিত্ত থেকে মধ্যবিত্তে উন্নীত হয়েছে। তাই এটা নির্জলা মিথ্যা বক্তব্য যে ক্ষমতাসীন দলের লোকেরা সকল উন্নয়ন তহবিল খেয়ে ফেলছে।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে এবং কয়েক বছরের মধ্যে এটি মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হবে।’ বিএনপি নেতৃবৃন্দের প্রতি আয়নায় নিজেদের চেহারা দেখার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিএনপি জাতীয় অর্জনকে গ্রহণ করতে পারছে না। কারণ তাদের পাঁচ বছরের শাসন আমলে বাংলাদেশ পাঁচ বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়।’
ড. হাছান বলেন, সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে বিরোধী দলীয় সদস্যদের গুরুত্বপূর্ণ পদ দিয়ে সরকার সংসদকে কার্যকর ও প্রাণবন্ত করে তুলেছে। মন্ত্রী বইটির লেখককে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এটা সাংবাদিকদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। লেখক বইটিতে সাংবাদিকতার বিভিন্ন দিকের উপর আলোকপাত করেছেন।
তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, একটি যুক্তি-ভিত্তিক গণতান্ত্রিক দেশ প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের গণমাধ্যম একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বিগত ১০ বছরে গণমাধ্যম খাতে ব্যাপক বিপ্লব ঘটেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অনারারি প্রফেসর ড. শওকত আলি খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, ইউএনবি’র চেয়ারম্যান আমানুল্লাহ খান, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম, প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার নজরুল ইসলাম ও বইটির প্রকাশক গফুর হোসেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১:২৮:৫৩ ১০২ বার পঠিত