রাষ্ট্রপতি মোঃ আব্দুল হামিদ ১৭-২৩ জুলাই ‘জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ
২০১৯’ উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন:
“প্রতি বছরের ন্যায় এবারও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ‘জাতীয়
মৎস্য সপ্তাহ ২০১৯’ উদযাপন করছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে আমি
দেশের সকল মৎস্যচাষী, মৎস্যজীবী, ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা, মৎস্য
সম্প্রসারণকর্মী এবং মৎস্য বিজ্ঞানীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে জানাই আন্তরিক
শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। এবারের জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের স্লোগান ‘মাছ চাষে
গড়বো দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ যথার্থ এবং তাৎপর্যপূর্ণ হয়েছে বলে
আমি মনে করি।
জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে মৎস্য একটি
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সম্ভাবনাময়খাত। মৎস্যখাতের উন্নয়নে সরকার
ইতোমধ্যে অভ্যন্তরীণ বদ্ধ জলাশয়ে উন্নত প্রযুক্তির মৎস্যচাষ সম্প্রসারণ,
উন্মুক্ত জলাশয়ে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ, মৎস্য আবাসস্থল উন্নয়ন ও
অভয়াশ্রম স্থাপন, প্রজননক্ষম ইলিশ ও জাটকা সংরক্ষণ কার্যক্রম জোরদারকরণ,
মৎস্যচাষী ও মৎস্যজীবীদের লাগসই প্রশিক্ষণসহ ব্যাপক উন্নয়ন পরিকল্পনা
গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। সরকারের গৃহীত উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের
ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ আজ মাছ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন
করেছে। একই সাথে ঐতিহাসিক সমুদ্র বিজয়ের মাধ্যমে সৃষ্ট ব্লু-
ইকোনমির অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের
বিজ্ঞানভিত্তিক ব্যবস্থাপনা, সংরক্ষণ ও টেকসই আহরণ নিশ্চিতকরণে সংশ্লিষ্ট
কর্তৃপক্ষ যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন - এ প্রত্যাশা করি।
অভ্যন্তরীণ ও সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা এবং এর যথাযথ
ব্যবহার নিশ্চিত করা সম্ভব হলে এ সম্পদ ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে মধ্যম আয়ের
দেশে রূপান্তরে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে সক্ষম হবে বলে আমার বিশ্বাস।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর
রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ ও রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নে
মৎস্যখাতের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সংশ্লিষ্ট সকলে আন্তরিকতা,
একাগ্রতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাবেন - এ প্রত্যাশা করি।
আমি ‘জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০১৯’ এর সার্বিক সফলতা কামনা
করছি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
বাংলাদেশ সময়: ২০:৪১:১৫ ২০৫ বার পঠিত