ওয়াশিংটনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পনের মধ্য দিয়ে মহান নেতার ৪৪তম শাহাদত বার্ষিকী পালিত হয়।
১৯৭৫ সালের এই দিনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। কতিপয় বিপথগামী সেনাসদস্য এক গভীর ষড়যন্ত্রেও মাধ্যমে ইতিহাসের এই জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড সংঘঠিত করে। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে দূতাবাস কর্তৃক গৃহিত বিভিন্ন কর্মসূচি ভাবগম্ভীর পরিবেশে পালিত হয়।
রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন কর্তৃক বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করণের মাধ্যমে শোক দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। এ সময় জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয়। এরপর রাষ্ট্রদূত দূতাবাস প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর আবক্ষমূর্তীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এতে অংশ নেন।
বঙ্গবন্ধু অডিটরিয়ামে শোক দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। দূতাবাসের অফিসাররা বাণীগুলো পাঠ করেন। বঙ্গবন্ধ ও তার পরিবার এবং ১৫ আগস্টে অন্যান্য শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মুনাজাত করা হয়। সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধুর কর্মজীবনের উপর একটি আলোচনা সভা এবং একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।
রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিনের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন ড. ডেভিড নালিন, ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ লিবারেশন ওয়ার অনার সম্মাননা, রাষ্ট্রদূত হোসাইন হাক্কানী, পরিচালক সাউথ এন্ড কালচারাল এশিয়া এট হাডসন ইন্সটিটিউট, সৈয়দ হাসান ইমাম, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন পরিচালক এবং ইঞ্জিনিয়ার মিজানুর রহমান মজুমদার, প্রেসিডেন্ট বঙ্গবন্ধু পরিষদ, ওয়াশিংটন ডিসি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:৩১:৪৭ ১০০ বার পঠিত