ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে দাঁড়িয়ে মাশরাফি বিন মর্তুজা। যে কোনো সময় আসতে পারে অবসরের ঘোষণা। তবে মাশরাফি আসলে কবে অবসর নেবেন, কোন সিরিজের পর, সেটি এখনও ঠিক হয়নি। এত বড় সিদ্ধান্ত, একা একা তো নেয়া যায় না। মাশরাফি তাই বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে কথা বলবেন, এমন খবর জাগো নিউজে ছাপা হয়েছে গত ১৫ আগস্ট।
সেই জরুরী কথোপকথনের জন্যই বোধ হয় আজ (শুক্রবার) হঠাৎ বিসিবি কার্যালয়ে হাজির মাশরাফি। সেখানেই বোর্ড প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে দেখা হলো টাইগার দলের ওয়ানডে অধিনায়কের।
বিসিবি নীতিগতভাবে মাশরাফিকে অবসরের সুযোগ করে দিতে বদ্ধপরিকর এবং সে সুযোগ করে দিতেই জিম্বাবুয়েকে আমন্ত্রণ জানানোর চিন্তা। তিন জাতি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের পাশাপাশি জিম্বাবুয়ের সাথে খেলে যাতে মাশরাফি অবসরের ঘোষণা দিতে পারেন- সে ব্যবস্থা করাই হলো এ আমন্ত্রণের উদ্দেশ্য।
মাশরাফি চাইলে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান আর জিম্বাবুয়েকে নিয়ে যে তিন জাতি টি-টোয়েন্টি আসরের পর দুই বা তিন ম্যাচের একটি ওয়ানডে সিরিজ আয়োজন কিংবা অন্তত একটি ম্যাচ অনুষ্ঠানের চিন্তা ভাবনাও আছে।
যেহেতু আগামী বছর মে মাসের আগে টাইগারদের কোনো ওয়ানডেই নেই, আর সেটাও আয়ারল্যান্ডে এবং বর্ষপঞ্জি ঘেঁটে দেশের মাটিতে ওয়ানডে অন্তত আগামী এক বছরে নেই। তাই বিসিবি কায়মনোবাক্যে চেয়েছে মাশরাফিকে এখনই মানে, সেপ্টেম্বরের শেষ ভাগে (২৫ আগস্টের পর) না হয় অক্টোবরের প্রথমভাগে ওই দুই বা তিন ম্যাচ সিরিজের আয়োজন করতে।
কিন্তু মাশরাফি সে সম্পর্কে একটি কথাও বলেননি এখনো। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা তো বহুদূরে, কোনো ব্যক্তিগত আলাপচারিতা কিংবা কাছের বন্ধুদের সাথে চায়ের আড্ডায়ও মাশরাফি অবসরের দিনক্ষণ সম্পর্কে পরিষ্কার করে কিছু বলেননি।
বিসিবি চাচ্ছে, মাশরাফির কাছ থেকে অবসরের বিষয়ে তার মনোভাব এবং আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসুক। বিসিবিপ্রধান নাজমুল হাসান পাপনও চান, মাশরাফির সাথে কথা বলে বিষয়টি চূড়ান্ত করতে। ঈদের ছুটি কাটাতে মাশরাফি ছিলেন নড়াইলে। সেখান থেকে ঢাকা ফেরার পর আজ বিসিবি কার্যালয়ে চলে এলেন। দেখা যাক, এখানেই কোনো ঘোষণা আসে কি না!
বাংলাদেশ সময়: ১৫:৩৪:১৪ ১৩৮ বার পঠিত