সব ফরম্যাটে দেশের বাইরে ভালো করতে পারে-এমন গভীরতা সম্পন্ন পেস ইউনিট তৈরি করতে চান বাংলাদেশের নতুন বোলিং কোচ চার্ল ল্যাঙ্গেভেল্ট। তার মতে, উপমহাদেশের দল যে কোনো কন্ডিশনে প্রভাব বিস্তার করতে পারবে, যদি তাদের একটি ‘কোর ফাস্ট বোলিং গ্রুপ’ থাকে।
ভারতীয় পেসারদের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, কোর ফাস্ট বোলিং ইউনিট গঠনের মাধ্যমে এখন দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট জিতছে ভারত। সব কন্ডিশনে অদম্য দল তৈরি করতে বাংলাদেশেরও কোর ফাস্ট বোলিং গ্রুপ গঠনে মনোযোগ দেব আমি।
গতকাল বুধবার মিরপুরে সংবাদ সম্মেলনে ল্যাঙ্গেভেল্ট বলেন, ওয়ানডেতে নতুন বলে ভালো করাটা গুরুত্বপূর্ণ। যে কোনো কন্ডিশনে টেস্টেও এটি গুরুত্বপূর্ণ। আসন্ন লংগার ভার্সনের ম্যাচটি আমার জন্য হবে পেসার খুঁজে বের করার মিশন। তাদের চাই, যারা দেশের বাইরেও ভালো বল করতে পারবে।
টাইগার পেসারদের একটি সমস্যা রয়েছে। তারা বাউন্স করার মতো যথেষ্ট লম্বা নয়। তবে এটিরও সমাধান রয়েছে ল্যাঙ্গেভেল্টের কাছে। তিনি বলেন, লম্বা না হলে ছেলেদের দিয়ে এমন বোলিং করানো কঠিন। তবে ইনজুরিগ্রস্ত না হলে বিকল্প পথে হাঁটতে হবে। সেটি হচ্ছে সুইং বোলিং। তারা যাতে সুইং করতে পারে সে জন্য আমি সহায়তা করব। কেউ যদি সুইং না করেই ধারাবাহিক হতে চায়, তা হলে লাইন-লেন্থ ঠিক রেখে আক্রমণাত্মক হতে হবে। এটিই হচ্ছে আসল।
কিংবদন্তি পেসার কোর্টনি ওয়ালশের পরিবর্তে টাইগারদের বোলিং কোচের দায়িত্ব পেয়েছেন ল্যাঙ্গেভেল্ট। দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক পেসার বলেন, আমার দর্শন ওয়ালশের চেয়ে আলাদা। তিনি একজন কিংবদন্তি বোলার ছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই কোচিংয়ের ক্ষেত্রে তার আর আমার দর্শন আলাদা। আমার রয়েছে আলাদা পরিকল্পনা। মেধার ভিত্তিতে আমি ক্রমে সবাইকে সহায়তা করব।
ইয়র্কার ও বাউন্সারে ফাস্ট বোলারদের জন্য স্বল্প সময়ের কোনো পরিকল্পনা আছে কিনা? ল্যাঙ্গেভেল্ট বলেন, আমার বিশ্বাস- আমি ভিন্ন পন্থায় তাদের সহায়তা করতে পারব। বোলিং কোচ হিসেবে আমাকে বল দিয়েই এগিয়ে যেতে হবে। চাপ মোকাবেলা করতে হবে, ভালো করার চেষ্টা করতে হবে, অনুশীলনে বল করতে হবে, কাজ অব্যাহত রাখতে হবে- এসব করলেই ইয়র্কার আয়ত্তে আসবে। আমি সবসময় বলে থাকি- পেস বোলিংয়ে পরিবর্তন ঘটাতে চাইলে, ইয়র্কার-বাউন্সার মারার সক্ষমতা থাকতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২:৫৭:০৯ ২০৩ বার পঠিত