উত্তর কোরিয়া বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, ওয়াশিংটন ‘ক্রমবর্ধমান শত্রুতাপূর্ণ সামরিক পদক্ষেপ বন্ধ না করলে পরমাণু কর্মসূচি বিষয়ে সংলাপে পিয়ংইয়ংয়ের কোন ‘আগ্রহ নেই।’ যুক্তরাষ্ট্রের সিনিয়র এক দূত উত্তর কোরিয়ার সাথে পারমাণবিক আলোচনা ফের শুরু করার দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে সিউল সফরের পর তারা এমন মনোভাব ব্যক্ত করলো। খবর এএফপি’র।
গত ফেব্রুয়ারিতে হ্যানয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের মধ্যে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় সম্মেলন কোন চুক্তি ছাড়াই ভেস্তে যাওয়ার পর পিয়ংইয়ং ও ওয়াশিংটনের মধ্যে আলোচনা মুখ থুবড়ে পড়ে।
এ দুই নেতা গত জুনে ডিমিলিটারাইজড জোনে ফের সাক্ষাত করেন এবং কার্যকরি পর্যায়ে সংলাপ পুনরায় শুরু করার ব্যাপারে সম্মত হন। তবে এ আলোচনা এ পর্যন্ত শুরু হয়নি।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার বাৎসরিক যৌথ সামরিক মহড়ার প্রতিবাদে উত্তর কোরিয়া সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে স্বল্প-পাল্লার কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায়। পিয়ংইয়ং যৌথ মহড়াকে আগ্রাসনের একটি প্রস্তুতি হিসেবে দেখছে।
উত্তর কোরিয়া বিষয়ক মার্কিন বিশেষ দূত স্টিফেন বিগুন তিন দিনের এক সফরে মঙ্গলবার সিউলে পৌঁছেছেন। তিনি কার্যকরি পর্যায়ের আলোচনার নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
বিগুন বলেন, ওয়াশিংটন পিয়ংইয়ংয়ের সাথে যত দ্রুত সম্ভব আলোচনা শুরু করতে প্রস্তুত রয়েছে।
অপরদিকে বৃহস্পতিবার উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়ক মুখপাত্র যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক মাঝারি-পাল্লার একটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষার এবং এ অঞ্চলে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান মোতায়েনের পরিকল্পনার সমালোচনা করে সংলাপ ফের শুরু করার ব্যাপারে হতাশা ব্যক্ত করেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের এসব পদক্ষেপকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে উল্লেখ করেন যা ‘নতুন করে ¯œায়ু যুদ্ধের সূত্রপাত’ করতে পারে।
তিনি আরো বলেন, ‘সংলাপ ও আলোচনার মাধ্যমে একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সকল বিষয়ের সমাধানের ব্যাপারে আমাদের অবস্থান অপরিবর্তিত রয়েছে।’
‘কিন্তু সামরিক হুমকি অব্যাহত রাখলে সংলাপের ব্যাপারে আমাদের কোন আগ্রহ নেই।’
উল্লেখ্য, উত্তর কোরিয়ার প্রতিবেশি দেশ দক্ষিণ কোরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৩০ হাজার সৈন্য মোতায়েন রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩:২১:২৯ ১৬০ বার পঠিত