জেলার শেরপুরে মাকড়খোলা গ্রামে বাল্য বিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেল মাদ্রাসা ছাত্রী আদুরী (১৩)। বুধবার রাতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও শেরপুর থানার ওসি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ঐ ছাত্রীর বিয়ে বন্ধ করেন। এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালত বর কে ১০ দিনের কারাদন্ড প্রদান করেন।
জানা যায়, শেরপুর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের মাকড়খোলা গ্রামের আকিমুদ্দিনের মেয়ে মাকরখোলা দাখিল মাদ্রাসার ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী আদুরী খাতুনের (১৩) সাথে বুধবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে একই ইউনিয়নের ভাদড়া গ্রামের মহসিন আলীর ছেলে ইকবাল হোসেনের (১৫) বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. লিয়াকত আলী সেখ ও শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হুমায়ুন কবীর বিয়ে বাড়িতে গিয়ে বাল্য বিবাহ বন্ধ করেন। এসময় মেয়ের বাবা আকিমুদ্দিন তার মেয়েকে প্রাপ্ত বয়স না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দিবে না মর্মে অঙ্গীকারনামা দেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত বর ইকবালকে ১০ দিনের কারাদ- দেন ও কনে কে স্বাস্থ্য ও বয়স বিবেচনায় ছেড়ে দেন। এছাড়া কনের বাবা আকিমুদ্দিন কে ৫ হাজার, বরের বাবা মহসীন আলী কে ৫ হাজার ও কাজী আব্দুস সালামকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হুমায়ুন কবীর জানান, বর ইকবাল কে ভ্রাম্যমাণ আদালত ১০ দিনের কারাদন্ড দিয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. লিয়াকত আলী সেখ বলেন, খবর পেয়ে বিয়ে বাড়িতে গিয়ে বাল্য বিয়ে বন্ধ করে বরকে ১০ দিনের জেল দেয়া হয়েছে।
image_print
বাংলাদেশ সময়: ১৫:৪০:৪৯ ২৪০ বার পঠিত