ঢাকা, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ নিউজটুনারায়ণগঞ্জঃ বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেছেন, সমুদ্র অর্থনীতি এক নতুন অর্থনৈতিক সম্ভাবনা নিয়ে হাজির হয়েছে । বর্তমান ও ভবিষ্যতের নাগরিকদের জন্য আমাদের এ সম্পদকে ব্যবহার করতে হবে একই সাথে এর টেকসই ব্যবস্থাপনায় মনোযোগী হতে হবে। এ সময় তিনি ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সম্ভাবনার সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করে টেকসই সমুদ্র অর্থনীতিকে উৎসাহিত করার আহবান জানান।
তিনি আজ বুধবার জাতীয় সংসদ ভবনে নিজ কার্যালয়ে সফরত ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোহাম্মদ জাভাদ জারিফ এমপি’র সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এসব কথা বলেন।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোহাম্মদ জাভাদ জারিফ ঢাকায় শুরু হওয়া ব্লু-ইকোনমি বা সমুদ্র অর্থনীতিবিষয়ক মন্ত্রী পর্যায়ের দুই দিনব্যাপী সম্মেলনে অংশ নিতে ঢাকায় অবস্থান করছেন।
সাক্ষাতকালে তাঁরা সমুদ্র অর্থনীতির টেকসই ব্যবহার, রোহিঙ্গা ইস্যু, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের প্রসার প্রভৃতি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ ও ইরানের মধ্যে দীর্ঘকালের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। তিনি ২০১৪ সালে ইরান সফরের স্মৃতিচারণ করে বলেন, মুসলিম উম্মাহ’র উন্নয়নে দু’দেশের রয়েছে ঐতিহাসিক সম্পর্ক।
স্পীকার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ইরানের সহায়তা প্রত্যাশার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার সারা দেশে ১০০ টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলেছে। এ সময় বাণিজ্যের প্রসার, জ্বালানী, ঔষধ ও তথ্য ও প্রযুক্তি বিশেষ করে সফটওয়ার খাতে বিনিয়োগের বৃদ্ধিসহ পারস্পরিক সহায়তা বৃদ্ধির জন্য ইরানের প্রতি আহবান জানান তিনি।
স্পীকার বলেন, সোনালী আঁশ পাট বাংলাদেশের ঐতিহ্যের অংশ। সোনালী আঁশ পরিবেশ বান্ধবও বটে। বাংলাদেশ বর্হি বিশ্বে বাংলাদেশী পাটজাতপণ্য রপ্তানী করে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে থাকে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক পলিথিনের পরিবর্তে পরিবেশ বান্ধব পাট পণ্যের চাহিদা প্রতিনিয়ত বাড়ছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ইরান ইসলামি দেশগুলোর পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (পিইউআইসি) সদস্য। সেক্ষেত্রে মুসলিম উম্মাহর উন্নয়নের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করা সম্ভব। এসময় তিনি সংসদীয় কূটনীতির মাধ্যমে বাংলাদেশ ইরান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের ওপর জোর দেন।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন,সমুদ্র অর্থনীতির বিশাল সম্পদকে কাজে লাগিয়ে এদেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নেওয়ার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। তিনি বলেন, ঔষধ ও তথ্য ও প্রযুক্তি বিশেষ করে সফটওয়ার খাতে বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য ইরানের বেসরকারী খাতকে উৎসাহিত করা হবে। জাভাদ জারিফ বাংলাদেশ থেকে পাটজাতপণ্য আমদানীর আগ্রহ প্রকাশ করেন।
সাক্ষাতকালে ইরানের প্রতিনিধিদলের সদস্যগণ ও বাংলাদেশ সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮:২৩:২৯ ১৮২ বার পঠিত