বগুড়া-ঢাকা মহাসড়কের শেরপুর উপজেলার মহিপুর নামক স্থানে বৃহস্পতিবার পৃথক দুর্ঘটনায় নারীসহ চারজন নিহত হয়েছেন। একই স্থানে দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন এবং পার হতে গিয়ে নারী মারা যান।
নিহত হলেন- মহিপুর এলাকায় মৃত আব্দুল হামিদের স্ত্রী আমেনা বেগম (৫০) ও অপর ৩ জনের নাম জানা যায়নি। আহতরা হলেন- লালমনিরহাটের কালিগঞ্জ থানার কাকিনা গ্রামের তইব আলীর ছেলে রাসেল (২২), গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর থানার ছোটগাছা গ্রামের আঃ রাজ্জাকের ছেলে মেহেদী হাসান (২০) ও বরিশালের বাকেরগঞ্জ থানার সাহেবপুর গ্রামের রফিক হাওলাদরের ছেলে শাহিন (৩০)।
জানা গেছে, বগুড়া-ঢাকা মহাসড়কে শেরপুর উপজেলার মহিপুর নামক স্থানে বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার দিকে কলা বোঝাই ও রড বোঝাই দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এসময় দুর্ঘটনা কবলিত রডবোঝাই ট্রাকের পেছনে আরেকটি কাভার্ডভ্যান ধাক্কা দেয়। এতে রড বোঝাই ট্রাকের হেলপার এবং কলা বোঝাই ট্রাকের চালক ও হেলপার নিহত হন। এছাড়া আরো তিনজন গুরুতর আহত হন। দুর্ঘটনার কারণে ভোর ৫টা থেকেই ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা হতাহতদের উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। শেরপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রতন হোসেন জানান, হতাহতদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি।
অপরদিকে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল শুরু হলে নাতি শাহরিয়ারকে (৭) স্কুল বাসে উঠিয়ে দেয়ার জন্য মহাসড়ক পার হওয়ার সময় একই স্থানে সকাল সাড়ে ৭টায় বাস চাপায় আমেনা বিবি (৫৫) নামের একজন নারী নিহত হয়েছেন। ঢাকাগামী শ্যামলী পরিবহনের একটি বাস তাকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। বাসটি আটক করা যায়নি।
শেরপুর ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট ফারুক আহম্মেদ ও ফিরোজ আহম্মেদ বলেন, তিনটি ট্রাকের সংঘর্ষের কারণে দুর্ঘটনার পর থেকেই প্রায় ৩ ঘণ্টা মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। ট্রাকগুলি সরিয়ে নেয়ার পর সকাল সাড়ে ৭টায় চলাচল স্বাভাবিক হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১২:৫৮:১৮ ২৫৯ বার পঠিত