আগামী ৯ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ২২ দিন ইলিশ মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। এ সময় ইলিশ মাছ পরিবহন, গুদামজাতকরণ ও বাজারে বিক্রি করা যাবে না। এ সময় যেসব জেলার জেলেরা মাছ ধরার ওপর নির্ভরশীল, তাদের খাদ্য সহযোগিতা দেওয়া হবে।
গতকাল রবিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে মত্স্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইলিশ সারাবছর ডিম পাড়লেও এ সময়টায় ৮০ শতাংশ মা ইলিশ ডিম পাড়ে। আর এই ডিম পাড়ে মূলত মিঠা পানিতে। তাই আশ্বিনের পূর্ণিমার চার দিন আগে এবং পূর্ণিমার পরে ১৮ দিন—মোট ২২ দিন দেশের উপকূলীয় অঞ্চল, নদীর মোহনাসহ যেসব জেলা ও নদীতে ইলিশ পাওয়া যায়, সেখানে মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মাছ ধরা নিষিদ্ধ সময়ে পার্শ্ববর্তী দেশের কোনো ট্রলার আমাদের সমুদ্রসীমা থেকে ইলিশ নিয়ে যেতে পারবে না।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের কোস্টগার্ড নেভির কর্মকর্তারা তৎপর রয়েছেন। এছাড়া এখন আমাদের জরিপ জাহাজসহ অনেক জাহাজ রয়েছে, হেলিকপ্টার রয়েছে, রাডার রয়েছে—এগুলো আমরা সব সময় ব্যবহার করি।’
জেলেদের খাদ্য-সহায়তায় দুর্নীতি প্রসঙ্গে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি চ্যালেঞ্জ করছি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধির পাশাপাশি জেলে প্রতিনিধিদের মাধ্যমে চাল বিতরণ করা হয়েছে। এখানে দুর্নীতির কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।’
বাংলাদেশ সময়: ১৩:১৬:৩৩ ২১৪ বার পঠিত