আজ (১০ সেপ্টেম্বর) মঙ্গলবার ২০১৯
(বাঘা যতীনের মৃত্যু)
বিপ্লবী বাঘা যতীন খ্যাত যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের আজ মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯১৫ সালের এই দিনে গুলিবিদ্ধ আহত অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। বাঘা যতীনের জন্ম ১৮৮৩ সালের ৮ ডিসেম্বর নদীয়ার কয়াগ্রামে। কৃষ্ণনগর এবি স্কুল থেকে এন্ট্রান্স বা প্রবেশিকা পাস করেন। কিন্তু আর্থিক টানাপড়েন যতি টেনে দেয় যতীনের পড়াশোনায়।
তখনই চাকরি জীবনে ঢুকলেন। ছোটখাটো অনেক কিছুই করেছেন। এর মধ্যে হুইলার এবং মালি নামের দুই ইংরেজের স্টেনোগ্রাফার হিসেবেও কাজ করেন।
ঘটনাক্রমে ১৯০৩ সালে যতীনের পরিচয় হলো বিপ্লবী অরবিন্দ ঘোষ এবং যতীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে । তাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার ফল ব্রিটিশবিরোধী সশস্ত্র বিপ্লবে যোগদান । ১৯০৬-তে কলকাতায় নিখিল বঙ্গ বিপ্লবী সম্মেলনের প্রতিনিধি হন। ১৯০৭ সালে কুষ্টিয়ায় একটি বাঘকে ¯্রফে একটি ছুরি দিয়ে মেরে ফেলার পর থেকে যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় পরিণত হলেন ‘বাঘা যতীনে’। ইংরেজ বিরোধী বিভিন্ন দুঃসাহসী অভিযানে সামনে থেকে অংশ নিয়ে বাঘা যতীন বাংলার কিংবদন্তী বিপ্লবীতে পরিণত হন। ১৯১৪ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে বাংলার বিপ্লবী দলগুলো ঠিক করে, জার্মানির সহায়তায় এদেশ থেকে বেনিয়াদের তাড়ানো হবে। সেই মোতাবেক ১৯১৫-তে একটি অস্ত্রের জাহাজ জার্মানি থেকে উড়িষ্যার বালেশ্বরে আসে। বাঘা যতীন তার বাহিনী নিয়ে যান সেই অস্ত্রশস্ত্র গ্রহণ করতে । কিন্তু এদেশীয় ইংরেজ-বিশ্বস্ত চরদের কাছ থেকে পুলিশ সে খবর পেয়ে যায়। তারা আগেভাগেই সেখানে অবস্থান নেয়। যতীন বাহিনী পৌছতেই শুরু হয় অতর্কিত আক্রমণ। যতীন বাহিনীও নাছোড়। ১৯১৫ সালের ৯ সেপ্টেম্বর বুড়িবালাম নদীর তীরে দীর্ঘ বন্দুকযুদ্ধ হয়। আচমকা গুলিবিদ্ধ হন যতীন। কোপাতিপোদার যুদ্ধক্ষেত্র থেকে বাঘা যতীনকে নিয়ে যাওয়া হয় বালেশ্বর হাসপাতালে। পরদিন ১৯১৫ সালের ১০ সেপ্টেম্বর বাংলার অসীম সাহসী বিপ্লবী যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় মৃত্যু বরণ করেন। তার বীরত্ব ও সাহসিকিতায় মুগ্ধ হয়ে তৎকালীন কলকাতার কমিশনার চার্লস টেগার্ট শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
১৯১৯ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে বিজয়ী দুই পক্ষ অষ্ট্রিয়া ও হাঙ্গেরীর মধ্যে ‘সান জারমান’ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তির ভিত্তিতে অষ্ট্রিয়া সা¤্রাজ্য ভেঙ্গে অষ্ট্রিয়া হাঙ্গেরী ও চেকোশ্লোভাকিয়া গঠিত হয় এবং এর কিছু ভ‚খন্ড ইতালী, যুগোশ্লাভিয়া, রাশিয়া, পোল্যান্ড ও রোমানিয়ার সাথে মিশে যায়। এ ছাড়া এই চুক্তিতে অষ্ট্রিয়া-জার্মান জোট বাতিল করা হয় এবং এ দুটো দেশকে যে কোন ধরণের সামরিক ও রাজনৈতিক জোট গঠন থেকে বিরত থাকতে বলা হয়। অষ্ট্রিয়া ও জার্মানী কোনভাবেই যাতে পুনরায় শক্তি সঞ্চার করে মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে না পারে সে জন্য বিজয়ী পক্ষ চুক্তিতে ঐসব শর্ত জুড়ে দেয়।
আজ থেকে ২৭ বছর আগে এই দিনে ইরানের তাবরিয শহরের জুমার নামাজের খতিব ও ইমাম আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ আসাদুল্লাহ মাদানী সন্ত্রাসী মুনাফেকিন গোষ্ঠীর হাতে শাহাদাত বরণ করেন। তিনি ফার্সী ১২৯৩ সালে জন্ম গ্রহণ করেন এবং পরবর্তীতে উচ্চ শিক্ষার জন্য ইরানের কোম ও ইরাকের নাজাফ শহরে যান এবং সেখানে ধর্মতত্তে¡র সর্বোচ্চ পর্যায় অর্থাৎ ইজতিহাদ অর্জন করেন। শিক্ষা জীবন থেকেই তিনি ইরানের রাজনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়েন এবং শাহের স্বৈরাচারী নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার ভ‚মিকা পালন করেন। ইরানের বিপ্লবী কর্মকান্ডে অংশ গ্রহণের জন্য তাকে বেশ ক’বছর বন্দী ও কারাজীবন ভোগ করতে হয়েছে। ইরানে ইসলামী বিপ্লব সফল হলে বিপ্লবের স্থপতি মরহুম ইমাম খোমেনী (র:) এর নির্দেশে তিনি ইরানের তাবরিয শহরে জুমার নামাজের খতিব নিযুক্ত হন। ফার্সী ১৩৬০ সালের ২০শে শাহরিভার শুক্রবার জুমার নামাজ পড়া অবস্থায় তিনি সন্ত্রাসীদের হাতে শাহাদাত বরণ করেন।
ফার্সী ১৩৭৩ সালের এই দিনে ইরানের বিশিষ্ট গবেষক ও কোরআন বিশারদ ড: মোহাম্মদ রমইয়ার পরলোক গমন করেন। তিনি ইরানের ধর্মীয় নগরী মাশহাদে জন্মগ্রহণ করেন এবং সেখানে ধর্মীয় নানা বিষয়ে পড়ালেখা করেন। পরবর্তীতে তিনি দর্শন ও আইন শাস্ত্রে উচ্চ শিক্ষা অর্জন করেন এবং ফার্সী ১৩৫৬ সালে তিনি জার্মানীর এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শন শাস্ত্রে ডক্টরেট ডিগ্রী লাভ করেন। তিনি বেশ কিছুকাল তেহরান বিশ্ব বিদ্যালয়ের ধর্মতত্ত¡ ও ইসলামী ষ্টাডিজ অনুষদের প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তিন ইসলাম ও কোরআন সম্পর্কে বহু মূল্যবান গ্রন্থ রচনা করেন।
১৯২৩ সালের ১০ই সেপ্টেম্বর বাংলা ভাষার শ্রেষ্ঠ শিশু সাহিত্যিকদের একজন সুকুমার রায় মাত্র ৩৬ বছর বয়সে অসুস্থ হয়ে মারা যান। ১৮৮৭ সালের ৩০শে অক্টোবর তিনি ভারতের কোলকাতায় জন্ম গ্রহণ করেন। সুকুমার রায় অনুপম ভাষায় শিশু-কিশোরদের উপযোগী গল্প, কবিতা, নাটক, প্রবন্ধ লিখে সবার মন জয় করেন। তার এসব সাহিত্যকর্ম সূ² ব্যঙ্গ ও কৌতুকরসে পরিপূর্ণ। তার কবিতায় সমাজচেতনাও অনন্যভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। তার আদিনিবাস ছিল বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জে। অস্কারপ্রাপ্ত বিশ্ববিখ্যাত চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায় ছিলেন তারই পুত্র।
ওসমানিয়া সুলতান সুলায়মানের হাঙ্গের বিজয় (১৫২৬)
কলকাতায় বিলেতের অনুরূপ মিউনিসিপ্যাল স্বাস্থ্যবিধি চালু (১৭৯৪)
প্রথম বাংলা-ইংরেজি অভিধান প্রণেতা হেনরি পিটস ফস্টারের মৃত্যু (১৮১৫)
হাঙ্গিরির সম্্রাজ্ঞী এলিজাবেত জেনেভায় ইতালির নৈরাজ্যবাদীদের হাতে নিহত (১৮৯৮)
সাইপ্রাসে ভ‚মিকম্পে ৪০ জন নিহত । আহত শতাধিক। হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন (১৯৫৩)
গিনিবিসাউ’র স্বাধীনতা লাভ (১৯৭৪)
দীর্ঘ ৪৫ বছর পর ইসরাইল এবং পিএলওর পরস্পরকে স্বীকৃতি (১৯৯৩)
নেপালে ৯ মাসের কমিউনিস্ট সরকারের পতন (১৯৯৫)
বাংলাদেশ সময়: ১৪:৪৩:৫২ ২৩৬ বার পঠিত