প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব নেতৃবৃন্দ, সরকার ও ব্যবসায়ীদের আগাম জলবায়ু অভিযোজন সমাধানের উপায় উদ্ভাবনের জন্য জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, কোনো জাতির একার পক্ষে এটি করা সম্ভব নয়।
মঙ্গলবার ঢাকা থেকে এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ‘গ্লোবাল কমিশন অন অ্যাডাপটেশন’ এর নেতৃবৃন্দের সঙ্গে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ বিশ্বব্যাপী গৃহীত বেশ কিছু উদ্যোগের আবাসস্থল, যা জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়ার লড়াইয়ে সম্মিলিতভাবে আমাদের টিকে থাকার জন্য একটি দিক নির্দেশনা দিয়েছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘কমিশনের একটি নতুন গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে, যদিও বাংলাদেশ অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে, তথাপি অনেক কাজ এখনো বাকী রয়ে গেছে।’
তিনি বলেন, ‘যে কারণে আমি ঢাকায় গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপটেশনের নতুন কার্যালয় খুলতে দেখে অত্যন্ত খুশী হয়েছি। এই নতুন অফিস বাংলাদেশকে জলবায়ু পরিবর্তনের নতুন প্রচেষ্টা এবং ধারণার সঙ্গে খাপ খাওয়াতে এবং সমন্বয় সাধন করতে সহায়তা করবে এবং আমরা এখন পর্যন্ত যতটা সফলভাবে এই পথ অতিক্রম করেছি তা থেকে শিক্ষা লাভ করতে এটি সারা বিশ্বের জন্য ওয়েব পোর্টাল হিসেবে কাজ করবে’।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সর্বোপরি, কোনো জাতিই এটি একা করতে পারে না। এক্ষেত্রে আমাদের সমগ্র বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে।’
কমিশনের নেতৃত্ব প্রদান করছেন জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি-মুন। বিল এবং মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের কো-চেয়ার প্রযুক্তিবিদ বিল গেটস এবং বিশ্ব ব্যাংকের সিইও ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভাও কমিশনে রয়েছেন।
এ বছর জুলাই মাসে ‘গ্লোবাল কমিশন অন অ্যাডাপটেশন’র প্রথম উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের আয়োজন করেছিল বাংলাদেশ। বিশ্ব বরেণ্য ব্যক্তিবর্গ তথা রাজনিতিবিদ, ব্যবসায়ী এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে ঢাকার হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে দু’দিন ব্যাপী এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বান কি-মুন এবং ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা এই বৈঠকে যোগদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে ঢাকা সফর করেন।
সফরকালীন তারা স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করেন, কী করে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারছে। তাদের সেই সফরের ফলেই গ্লোবাল কমিশন অন অ্যাডাপটেশনের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঢাকায় ’গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপটেশন’ এর নতুন অফিস খোলা হচ্ছে ।
কমিশন ২০১৯ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলনে এই সম্পর্কে বেশ কিছু ঘোষণা প্রদান করবে এবং অন্যান্য কার্যবিধিও তুলে ধরবে। যেগুলো রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রয়োজনীয় রূপান্তরগুলোর ক্ষেত্রে জাম্পস্টার্ট প্রযোজ্য। কিছু ক্ষেত্রে এই পদক্ষেপসমূহের বিদ্যমান উদ্যোগগুলোতে রাজনৈতিক, প্রযুক্তিগত এবং আর্থিক সহায়তা জড়িত, অন্যান্য ক্ষেত্রে তারা পরিবর্তনের জন্য নতুন জোট গঠনের দাবি করতে পারে।
২০১৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সদন দপ্তরে অনুষ্ঠেয় এবং নেদারল্যান্ডের সরকার আয়োজিত অপর এক অনুষ্ঠানে কমিশন এক বছরের জন্য একটি ‘ইয়ার অব অ্যাকশন’ ঘোষণা করবে।
ইয়ার অব অ্যাকশন এর ক্ষেত্রে অর্জিত ফলাফলের ভিত্তিতে ২০২০ সালের অক্টোবরে নেদারল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় ‘ক্লাইমেট অ্যাডাপটেশন সম্মেলনে প্রস্তাব গ্রহণ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪:৫৬:৫৬ ১০৭ বার পঠিত