আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করল রাঙামাটির কাপ্তাই কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান বাঁধ সংলগ্ন এলাকায় নির্মিত ৭ দশমিক ৪ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র।
বুধবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন ২২ হাজার মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে। সেই সঙ্গে ৯৩ শতাংশ বাড়িতে আওয়ামী লীগ সরকার বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছে।
তিনি বলেন, ২০০১ সালে সরকারে আসতে না পারলেও তার আগে অনেক বিদ্যুৎকেন্দ্র রেখে যাই। আমরা যেসব প্রকল্পের কাজ শুরু করেছিলাম, বিএনপি সেগুলো শেষ করলেও জনগণ স্বস্তি পেত। যেসব প্রকল্প শেষের দিকে ছিল, সেগুলো সম্পন্ন করেই তারা তৃপ্তি পেয়েছে।
বিএনপি সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদন কমিয়েছে মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ২০০১ সালে যে চার হাজার মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ রেখে গিয়েছিল, সেটি বিএনপি তখন তিন হাজার ২০০ মেগাওয়াটে নামিয়ে এনেছিল।
বিএনপি নেতাদের মধ্যে দেশপ্রেম নেই উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্যাস বিক্রির জন্য আমার ওপর বিদেশি চাপ ছিল ২০০১ সালে। আমরা বলেছিলাম- ৫০ বছরের রিজার্ভ রেখে তার পর আমরা বিক্রির সিদ্ধান্ত নেব। কিন্তু বিএনপি রাজি হয়ে গিয়েছিল। নেবে যুক্তরাষ্ট্র, কিনবে ভারত। যেজন্য ক্ষমতায় আসতে পারিনি।
আমাদের চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস নেই এবং এলএনজি এনে চাহিদা মেটানো হচ্ছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত ২০২০ সালের মধ্যে বিদ্যুতের মোট উৎপাদনের ১০ শতাংশ নবায়নযোগ্য শক্তি থেকে উৎপাদনের লক্ষ্যে ২০১৭ সালের ৯ জুলাই কাপ্তাই সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পটির কাজ শুরু হয়।
বর্তমানে পরীক্ষামূলকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন চলছে। এ প্রকল্পের প্রতি কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যয় ধরা হয়েছে পাঁচ টাকা ৪৮ পয়সা।
চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জেটটি কর্পোরেশন বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করছে। ২৪০১২টি প্যানেল স্থাপনের মাধ্যমে সোলার প্যানেলটি স্থাপন করা হয়েছে। এই ইউনিট থেকে ৭ দশমিক ৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত ৬ দশমিক ৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হয়েছে।
এ প্রকল্প থেকে আগামী ২৫ বছর পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন সেবা পাওয়া যাবে।
কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রকল্প ইঞ্জিনিয়ার মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, আগামী দুই বছর চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জেটটি করপোরেশন এর দেখভালের দায়িত্বে থাকবে। এটি কাপ্তাই কর্ণফুলী জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের হাতে ন্যস্ত থাকবে দুই বছর। এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাঙামাটি, কাপ্তাই ও লিচু বাগান পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহের পর আরও দুই-তিন মেগাওয়াট বিদ্যুৎ থাকে, যা জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪:৪৫:৩০ ১৬৩ বার পঠিত