স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, আগামীতে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ভ্যাকসিনসহ বিভিন্ন রোগের আবিষ্কার ও প্রতিকার বিষয়ে গবেষণার উপর বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।
তিনি বলেন,গবেষণা অত্যন্ত একটি দরকারী বিষয়। বর্তমানে গবেষণার জন্য যে আর্থিক বরাদ্দ দেওয়া হয় তা খুবই অপ্রতুল। এ খাতে বিশেষ বরাদ্দর ব্যবস্থা রাখতে হবে ।
আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিলন হলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা দিবস-২০১৯ উপলক্ষে ‘নিরন্তর গবেষণা : উন্নততর চিকিৎসা ও শিক্ষার সোপান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বাস্থ্যখাতসহ দেশ সকল বিষয় এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে।তিনি উন্নয়নের পাশাপাশি মানুষের নৈতিকতার চর্চার বাড়ানোর উপরও গুরুত্বরোপ করেছেন তা চলমান রয়েছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়–য়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএমআরসি ও কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়ক ট্রাস্টের চেয়ারম্যান এবং প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্য ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সাবেক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব শেখ ইউসুফ হারুন। এতে সম্মানিত অতিথি ছিলেন কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ। অনুষ্ঠানে এওয়ার্ড প্রদান করেন জাতীয় অধ্যাপক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান।
ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী বলেন, আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে যুগের চাহিদা মেটাতে চিকিৎসা ব্যবস্থায় সময়োপযোগী নতুন নতুন গবেষণা একান্ত অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।
শেখ ইউসুফ হারুন বলেন, উন্নত দেশগুলো বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় ওষুধের আবিষ্কার ও তা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সব সময় কয়েক ধাপ এগিয়ে। যার মূলে রয়েছে তাদের গবেষণাক্ষেত্রে অগ্রাধিকারমূলক মনোভাব। সুতরাং বাংলাদেশেও গবেষণার মাধ্যমে নতুন রোগ বা রোগের চিকিৎসা ও প্রতিকার আবিষ্কার করা সম্ভব।
এর আগে বি ব্লকের সামনে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের সূচনা করেন জাহিদ মালেক।
বাংলাদেশ সময়: ২১:৪৫:৪২ ১৯৭ বার পঠিত